ঠান্ডা-জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
মঙ্গলবার সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে তাকে ভর্তি করানো হয় বলে নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেন দলের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া।
তিনি বলেন, ‘ঠান্ডাজনিত সমস্যার কারণে কাদের ভাইকে আজ সকালে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।’
কাদেরের শারীরিক অসুস্থতা গুরুতর কিছু নয় বলেও জানান বিপ্লব বড়ুয়া।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক বিদ্যুৎচন্দ্র দেবনাথ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘তিনি সকালে বিএসএমএমইউতে এসেছেন। এখনও পর্যন্ত ঠিক কী কারণে ভর্তি হয়েছেন সেটা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তার চিকিৎসায় মেডিক্যাল বোর্ড গঠনের কাজ চলছে। এরপর জানা যাবে কার অধীনে উনাকে চিকিৎসা দেয়া হবে।’
৩১২ নম্বর ভিআইপি কেবিনে ভর্তি হওয়া কাদেরের নিয়মিত চেকআপ চলছে বলেও জানান এই চিকিৎসক।
কাদের আজকের দিনটি হাসপাতালে থাকবেন বলেও নিশ্চিত করেছেন বিদ্যুৎচন্দ্র দেবনাথ।
নিউজবাংলার সঙ্গে আলাপের পর কাদের অসুস্থতা নিয়ে নিজের ভ্যারিফায়েড ফেসবুক পেজেও স্ট্যাটাস দেন আওয়ামী লীগের েদপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া।
স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মাননীয় মন্ত্রী জনাব ওবায়দুল কাদের এমপি মৃদু শারীরিক অসুস্থতার কারণে এবং নিয়মিত কিছু চেকআপের জন্য রাজধানী ঢাকার বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ সকালে ভর্তি হয়েছেন।’
ওবায়দুল কাদেরের সুস্থতায় দেশবাসীর দোয়া চেয়ে তিনি লিখেছেন, ‘হাসপাতালে গিয়ে অহেতুক ভিড় না করার জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে। সেইসঙ্গে বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সব দর্শনার্থীদের হাসপাতালে না যাওয়ার জন্য কঠোর পরামর্শ প্রদান করেছে।’
এর আগে, ২০১৯ সালের ৩ মার্চ হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় বিএসএমএমইউতে ভর্তি হয়েছিলেন ওবায়দুল কাদের। তাকে দেখতে হাসাপাতালে ছুটে আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদও।
বিএসএমএমইউর কার্ডিওলজি বিভাগের চেয়ারম্যান সৈয়দ আলী আহসান তখন গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, কাদেরের তিনটি আর্টারি ব্লক হয়ে গেছে। ডায়াবেটিসও অনিয়ন্ত্রিত।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের চিকিৎসায় দেশের বাইরে থেকে আনা হয় চিকিৎসক দল। কাদেরের চিকিৎসা করেন ভারতের নামকরা হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ দেবী শেঠি। তাতেও শঙ্কামুক্ত হননি তিনি।
পরদিন এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে কাদেরকে নিয়ে যাওয়া হয় সিঙ্গাপুরে। সেখানে তার হৃদযন্ত্রে অস্ত্রোপচার করা হয়। প্রায় আড়াই মাসের দীর্ঘ চিকিৎসার পর ২০১৯ সালের ৬ মে সুস্থ হয়ে দেশে ফেরেন আওয়ামী লীগের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ এই নেতা।
ধীরে ধীরে রাজনীতির মাঠে তাকে আগের মতোই সক্রিয় হয়ে ওঠেন কাদের। বৈশ্বিক করোনাভাইরাস মহামারির স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি বিবেচনা নিয়ে লোক সমাগম এড়িয়ে চললেও গণমাধ্যমে নিয়মিত দল এবং সরকারের হয়ে কথা বলছেন। করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ আসার পর গুরুত্বপূর্ণ কিছু রাষ্ট্রীয় ও দলীয় কর্মসূচিতেও উপস্থিত থাকছেন তিনি।