বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মরণে জনতার ঢল

  •    
  • ১৪ ডিসেম্বর, ২০২১ ১১:২৩

নার্সারির শিক্ষার্থী নাতনি হৃদিতাকে নিয়ে বেদীতে ফুল দিতে খুলনা থেকে ঢাকায় আসেন বীর মুক্তিযোদ্ধা চিত্ত রঞ্জন মল্লিক। হৃদিতার একহাতে শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে ফুল, অন্য হাতে দেশের পতাকা। চিত্তরঞ্জন বলেন, ‘বোন (নাতনি) বায়না ধরেছে, এবারের বিজয় দিবস আমার সঙ্গে কাটাবে, তাই খুলনা থেকে এক দিন আগে ঢাকায় আসতে হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে মেয়েদের কাছে, নাতিদের কাছে সব সময় মুক্তিযুদ্ধের গল্প বলি, কী হয়েছিল সেসব তুলে ধরি। মিরপুর-১-এ মেয়ের স্বামীর বাসা, সেখানে থাকছি। রাত থেকেই নাতনি কিছুক্ষণ পর পর এসে বলে নানা কখন যাব।’

জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে রাজধানীর রায়েরবাজার বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে ঢল নেমেছে সর্বস্তরের মানুষের।

সকালে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর শুরু হয় সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদন।

একে একে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বিএনপি দলের শীর্ষস্থানীয় নেতারাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ সারিবদ্ধভাবে শহীদ বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণে এগিয়ে আসেন।

শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে ভোরের আবছা আলোতে শীত ও কুয়াশা উপেক্ষা করে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে আসতে শুরু করেন। শ্রদ্ধার্ঘ্য হাতে থাকা সে মানুষের মিছিল শহীদ বেদী ছাড়িয়ে প্রধান সড়ক পর্যন্ত দীর্ঘ হয়।

নানা রাজনৈতিক দল, সংগঠন, ছাত্র সংগঠন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ স্কুল কর্তৃপক্ষ থেকে শুরু করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা শিশু, তরুণ-যুবক, বয়স্ক সবাই ছিলেন সেই মিছিলে।

স্লোগানে স্লোগানে মিছিল নিয়ে হেঁটে শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাতে এগিয়ে যান। কারও হাতে বড় ফুলের তোড়া, কারও হাতে একগাছি ফুল, হাতে পতাকা, কারও বা হাতে ছিল লাল-সবুজের ক্যাপ।

নার্সারির শিক্ষার্থী নাতনি হৃদিতাকে নিয়ে বেদীতে ফুল দিতে আসেন খুলনার বীর মুক্তিযোদ্ধা চিত্ত রঞ্জন মল্লিক। হৃদিতার একহাতে শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে ফুল, অন্য হাতে দেশের পতাকা।

চিত্তরঞ্জন বলেন, ‘বোন (নাতনি) বায়না ধরেছে, এবারের বিজয় দিবস আমার সঙ্গে কাটাবে, তাই খুলনা থেকে এক দিন আগে ঢাকায় আসতে হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে মেয়েদের কাছে, নাতিদের কাছে সব সময় মুক্তিযুদ্ধের গল্প বলি, কী হয়েছিল, সেসব তুলে ধরি। মিরপুর-১-এ মেয়ের স্বামীর বাসা, সেখানে থাকছি। রাত থেকেই নাতনি কিছুক্ষণ পর পর এসে বলে, নানা কখন যাব।’

স্থানীয় বাসিন্দা ষাটোর্ধ্ব রহিমা বেগম নীরবে দাঁড়িয়ে ছিলেন গণকবরের সামনে। তিনি বলেন, ‌‌'এখানে আমার রক্তের সম্পর্কের কেউ নাই। তারপরও যারা দেশের জন্য শহীদ হয়েছেন, তারা আমাদের অনেক আপন। সুযোগ পেলেই আমি এখানে এসে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকি, তাদের জন্য দোয়া করে যাই, আজকেও এসেছি।'

রাস্তা সংস্কার আন্দোলন নামে সাভারের স্থানীয় একটি সংগঠন এলাকার লোকজন নিয়ে এসেছে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে। সংগঠনের সমন্বয়ক পরিষদের সদস্য লিটন কবিরাজ বলেন, সমাজে সচেতনতামূলক কাজ করাই আমাদের সংগঠনের লক্ষ্য। তাই শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো এবং দেশের জন্য কী করেছেন, তা নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতেই সবাইকে নিয়ে এখানে এসেছি। আমাদের সঙ্গে ছোট শিশু থেকে বয়স্ক অনেকেই এসেছেন।

এ বিভাগের আরো খবর