কামরুন নাহারকে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ পদে নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে।
বেআইনিভাবে তাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে, এমন অভিযোগ তুলে তার নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে মঙ্গলবার রিটটি করেন আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ।
রিটের ওপর বুধবার বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানি হবে বলে জানান তিনি।
১৯৮৯ সালের শিক্ষক সার্ভিস রেগুলেশন অনুযায়ী বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ নিয়োগের ক্ষমতা গভর্নিং বডির হাতে বলে জানান এই আইনজীবী।
নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘এ ছাড়া যারা শিক্ষা ক্যাডারের, তাদের নিয়োগ হবে সরকারি কলেজে। এটা বেসরকারি কলেজ। অথচ সরকার সে আইন লঙ্ঘন করে কামরুন নাহারকে ভিকারুননিসার অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দেয়। এটা চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করেছি। আগামীকাল বুধবার শুনানি হবে।’
আগের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধেও রিট করেছিলেন জানিয়ে ইউনুছ আলী বলেন, ‘এর আগেও যিনি অধ্যক্ষ ছিলেন অধ্যাপক ফওজিয়া রেজওয়ান, তার নিয়োগ নিয়েও রিট দায়ের করেছিলাম। সে রিটের শুনানি নিয়ে একদিন হাইকোর্ট স্থগিত করেছিল। এরপর রুল দিয়েছিল। ওই রুল পেন্ডিং অবস্থায় তাকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। যেটা আদালত অবমাননার শামিল।’
অধ্যক্ষ কামরুন নাহার ও ভিকারুননিসার অভিভাবক ফোরামের নেতা মীর সাহাবুদ্দিন টিপুর ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনায় করা পৃথক আরেকটি রিট বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে চলমান আছে।
ওই ঘটনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে আদালতে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
গত ৮ জুলাই ভিকারুননিসার অধ্যক্ষ ও অভিভাবক ফোরামের নেতার ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনায় অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টে রিট করেন দুই ছাত্রীর অভিভাবক মোহাম্মদ মোরশেদ আলম।
এ রিটের শুনানির সময় গত ৯ আগস্ট আদালত বলেছিল, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহার ফোনালাপে যে ভাষা ব্যবহার করেছেন তা সত্যি হয়ে থাকলে অবশ্যই নিন্দনীয়। এটা অপ্রত্যাশিত। তার মুখ থেকে এ ধরনের ভাষা আশা করা যায় না।
এরপর ৩১ অক্টোবরের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে গত ১৬ সেপ্টেম্বর আদেশ দেয় হাইকোর্ট। তারপর দুই দফায় সময় দিলেও রিপোর্ট জমা পড়েনি।
অধ্যক্ষ ও অভিভাবক ফোরাম নেতার সাড়ে ৪ মিনিটের ওই কথোপকথন ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যেখানে অশ্লীল বেশ কিছু শব্দ রয়েছে।