শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের সকাল থেকেই রায়েরবাজার বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে সব স্তরের মানুষের উপচে পড়া ভিড়। জাতির সূর্যসন্তানদের স্মরণে এবং তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এসেছে তারা।
সকাল হতেই বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ চত্বরে ছাত্র, শিক্ষক, শহীদ পরিবারের সদস্যরা, রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠনগুলোর কর্মীরা ভিড় জমান। স্মৃতিসৌধ চত্বরে প্রবেশ করতে দেয়া হয় সকাল ৬টা থেকে। লাইন ধরে ধরে সবাইকে প্রবেশ করতে দেয়া হয় সবাইকে।
শহীদ বেদির পাশেই শহীদদের স্মরণে স্বরচিত কবিতা পাঠ, আবৃত্তি ও দেশের গানের আয়োজন করা হয়। শ্রদ্ধা জানাতে এসে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সন্তানদের সংগঠন ‘প্রজন্ম ৭১’ একটি মানববন্ধন করে।
জাতির বীর সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে আসা সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী লাবনী আক্তার বলেন, ‘আমরা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে এসেছি। এই দিনে পাকিস্তানিরা তাদের হত্যা করেছে। তাদের স্মরণ করতে আমাদের শিক্ষকরা আমাদের নিয়ে এসেছেন।’
মোহাম্মদপুর গার্লস হাই স্কুলের শিক্ষার্থী লামিয়া লাবিবা বলেন, ‘প্রতিবছরের মতো এ বছরেও এসেছি শহীদ বুদ্ধিজীবীদের শ্রদ্ধা জানাতে। আমাদের শিক্ষদের সঙ্গে এসেছি এখানে।’
রাজধানীর চাঁদ উদ্যান গার্লস অ্যান্ড বয়েজ হাই স্কুলের শিক্ষক মুক্তা আফরোজ সিন্থিয়া বলেন, ‘বাচ্চাদের নিয়ে এসেছি এই দিনের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে। এই দেশের নতুন প্রজন্ম হিসেবে তাদের শহীদ বুদ্ধিজীবীদের সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে এই শিশু-কিশোররাই আগামী দিনের বাংলাদেশ গড়বে।
‘শুধু বই পড়ে শিক্ষার্থীরা এই দিন সম্পর্কে জানতে পারবে না। তাই ইতিহাস জানার সঙ্গে সঙ্গে স্থানটাও কাছ থেকে দেখাতে তাদের নিয়ে এসেছি। তাহলেই তারা অনুভব করতে পারবে।’