ঠাকুরগাঁওয়ে ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন ধাপের নির্বাচনে নানা সহিংসতার পর নির্বাচনী এলাকায় আতঙ্কে রয়েছেন ভোটাররা।
বিশেষ করে নির্বাচনের ফলাফল ঘিরে কয়েকজন নিহতের পর থেকে আতঙ্ক আরও বেড়েছে।
জানা গেছে, জেলার সদর উপজেলার ২০টি ইউনিয়নে চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচন হবে আগামী ২৬ ডিসেম্বর। এরই মধ্যে বিভিন্ন এলাকায় প্রচারণার হাওয়া বইলেও ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় আছেন ভোটাররা।
এরই মধ্যে সোমবার রাতে সদর উপজেলার ৭ নম্বর চিলারং ইউনিয়নে নির্বাচনী এলাকায় পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা ৩৯টি রামদা উদ্ধারের ঘটনা ভোটারদের শঙ্কা যেন আরও বাড়িয়েছে।
সোমবার সন্ধ্যায় ইউনিয়নের ভেলাজান বাজার থেকে এই দেশীয় অস্ত্রগুলো উদ্ধার করে সদর থানা পুলিশকে দেন স্থানীয়রা।
এ ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে পুরো ইউনিয়নে। অনেকের ধারণা, আগামী নির্বাচনে নাশকতার উদ্দেশ্যেই এসব অস্ত্র বানানো হয়েছে।
অনেকেই আবার মনে করছেন, ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াতেই এ কৌশল বেছে নিয়েছে কোনো প্রার্থী বা সমার্থকরা, যাতে মানুষ আতঙ্কে ভোটকেন্দ্রে না যায়।
এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে স্থানীয় একটি স্কুলের শিক্ষক আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘অস্ত্র দেখিয়ে ভোটারদের পথ রোধ করা ঘৃণ্য কৌশল। যারা ভোট পছন্দ করেন না, তারা চান না ভোটাররা কেন্দ্রে যাক। এ বিষয়ে আমাদের সচেতন হতে হবে। দেশকে এগিয়ে নিতে হলে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে হবে।’
স্থানীয় ব্যবসায়ী দুলাল রব্বানীসহ অনেকেই জানান, কেন্দ্রে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা না হলে আসছে নির্বাচনেও সহিংসতা হতে পারে। রামদাকাণ্ড তারই ইঙ্গিত দিচ্ছে। প্রশাসন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোটের আয়োজন করবে, আর জনগণ তাদের সহায়তা করবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে এ বিষয়ে বিশেষ দৃষ্টি রাখতে হবে।
রামদার ঘটনায় চিলারং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আয়ুব আলী বলেন, ‘এ ঘটনা শুনিনি। অসুস্থতার কারণে বাসায় অবস্থান করছি।’
ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বলেন, ‘রামদাগুলো কারা, কী উদ্দেশ্যে সেখানে রেখেছিল, তার তদন্ত চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘উপজেলায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। সন্দেহভাজন কিছু মনে হলে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে জানাতে বলা হয়েছে। তাই আশা করা যায়, সুষ্ঠুভাবেই ভোট অনুষ্ঠিত হবে।’