বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আশ্রয়দাতা দেশগুলো ঘাতকদের রক্ষা করছে: মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী

  •    
  • ১৪ ডিসেম্বর, ২০২১ ১০:১২

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী, ‘তাদের নিজস্ব আইনের দোহাই দিয়ে ঘাতকদের রক্ষা করছে। আমাদের সরকার নানাভাবে চেষ্টা করছে তাদেরকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য। সরকারি প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’

বুদ্ধিজীবী হত্যার সঙ্গে জড়িতদের মধ্যে যারা পালিয়ে আছে তাদেরকে আশ্রয়দাতা দেশগুলো রক্ষা করছে বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে রাজধানীর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ মন্তব্য করেন।

মোজাম্মেল হক বলেন, ‘বুদ্ধিজীবী হত্যায় জড়িত ঘাতকরা বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়ে পালিয়ে রয়েছেন। দুঃখের বিষয় হলেও সত্য আশ্রয়তাদা দেশগুলো তাদের দেশের রাজনৈতিক সীমাবদ্ধতার কথা বলে তাদেরকে হস্তান্তর করছে না।

‘তাদের নিজস্ব আইনের দোহাই দিয়ে ঘাতকদের রক্ষা করছে। আমাদের সরকার নানাভাবে চেষ্টা করছে তাদেরকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য। সরকারি প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’

একাত্তরের ডিসেম্বরে মুক্তিযোদ্ধাদের তীব্র প্রতিরোধের মুখে যখন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর পরাজয় আসন্ন, সেই মুহূর্তে ইতিহাসের অন্যতম নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালায় তাদের দোসর রাজাকার, আল-বদর ও আল-শামস। বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করতে বেছে বেছে হত্যা করা হয় বুদ্ধিজীবীদের।

এ ঘটনার এত বছর পরও হত্যাকারীরা বহালতবিয়্যতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থান করছে। বুদ্ধিজীবী হত্যায় এরই মধ্যে আদালতে দোষী প্রমাণিত হয়েছেন দুই আল-বদর নেতা চৌধুরী মুঈনুদ্দিন ও আশরাফুজ্জামান খান। তাদের ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের রায় রয়েছে।

তবে দুজনই পলাতক। চৌধুরী মুঈনুদ্দিন বর্তমানে অবস্থান করছেন যুক্তরাজ্যে আর আশরাফুজ্জামান খান আছেন যুক্তরাষ্ট্রে। এ রকম আরও যুদ্ধাপরাধী বিভিন্ন দেশের আশ্রয়ে রয়েছেন।

পাকিস্তানের ১৯৫ জন যুদ্ধাপরাধীর মরণোত্তর বিচারের দাবিও তোলেন মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক মন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানের সঙ্গে চুক্তি হয়েছিল ১৯৫ জন যুদ্ধাপরাধীর বিচার তারা দেশে গিয়ে করবে, কিন্তু সে চুক্তি তারা ভঙ্গ করেছে, কারো বিচার করেনি। এর মধ্যে অনেকে মারা গিয়েছেন। যারা মারা গিয়েছেন তাদের মরণোত্তর বিচারের পাশাপাশি যারা বেঁচে আছেন তাদের বিচার দাবি করছি।’

এর আগে দিনের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি পক্ষ থেকে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এরপর জাতীয় সংসদের স্পিকারে পক্ষে শ্রদ্ধা জানানোর পর শ্রদ্ধা জানাতে আসেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী।

স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ফজলে নূর তাপস। তিনি বলেন, ‘বুদ্ধিজীবী হত্যাসহ অন্যান্য হত্যাকারীদের বিচার নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। দেশবাসীকে তার পাশে থাকতে হবে।’

তাপস বলেন, ‘বিদেশে পালিয়ে থাকা খুনিদের ফিরিয়ে এনে শাস্তি না করা পর্যন্ত বিচার পূর্ণতা পাবে না।’

আমি লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নানক বলেন, ‘জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে বাংলাদেশ তার অভীষ্ট লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাবেই। আক্রান্ত তা রোধ করতে পারবে না।’

এ বিভাগের আরো খবর