ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার উত্তর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের সব প্রার্থী এক মঞ্চে উঠে সহিংসতাকে ‘না’ বলেছেন। প্রার্থীরা কাঁধে কাঁধ, হাতে হাত রেখে সুষ্ঠু নির্বাচনের বিষয়েও আশ্বাস দেন।
উপজেলার আজমপুর রেলওয়ে স্টেশনের সামনে সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশ আয়োজিত ‘এক মঞ্চে সব প্রার্থী’-শীর্ষক অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দেন প্রার্থীরা।
অনুষ্ঠানে স্থানীয়দের উপস্থিতিও ছিল লক্ষণীয়। সুষ্ঠু ভোটের ক্ষেত্রে এ ধরনের আয়োজন ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে জানান তারা।
আখাউড়া উপজেলার পাঁচ ইউনিয়ন পরিষদে ভোট হবে আগামী ২৬ ডিসেম্বর। এই নির্বাচনে উত্তর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান ও সদস্য মিলিয়ে প্রার্থী হয়েছেন ৪২ জন। তাদের মধ্যে ৪১ জন অনুষ্ঠানে ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রার্থীরা জানান, তারা সহজভাবে পরাজয় মেনে নেবেন। জয় কিংবা হার যায় হোক ফুলের মালা নিয়ে যাবেন প্রার্থীদের বাড়িতে। ভোটকে তারা উৎসবে রূপান্তরিত করতে চান।
এ সময় চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল হান্নান ভূঁইয়া স্বপন বলেন, ‘আমি ওয়াদা করছি, আইনমন্ত্রী মহোদয়ের সম্মান রক্ষার্থে সুষ্ঠু নির্বাচনে সব ধরনের সহযোগিতা করব। চেয়ারম্যান প্রার্থীদের জন্য যদি একটি নির্ধারিত বসার জায়গা করে দেয়া হয়, তাহলে একসঙ্গে কেন্দ্রের বাইরে বসে থাকব।’
মো. শাহজাহান বলেন, ‘আমি আগে থেকে মালা রেডি করে রাখব। জিতি হারি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে মালা পরাব। আমি হেরে গেলেও মিলেমিশে কাজ করব।’
মুজিবুর রহমান নান্নু বলেন, ‘নৌকা প্রতীক পেলে কেউ ভোটারদের মূল্যায়ন করেন না। যে কারণে আইনমন্ত্রী মহোদয় সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। জনগণের ইচ্ছার ভোটে যেই পাস করবে আমি তাকে ফুলের মালা পরাব।’
আল-আমিন বলেন, ‘আমার পরাজয়ের অভিজ্ঞতা আছে। তাই এবার হেরে গেলেও সেবার মানসিকতা ধরে রাখতে চাই।
‘আমরা প্রার্থীরা একে অপরের আপনজন। কেউ আত্মীয়, কেউ এলাকার মানুষ। আমরা তো ভোটের পর এক হয়ে চলব। একজনের কাজে আরেকজন সহযোগিতা করব। তাহলে আপনারা কেন হানাহানিতে জড়াবেন।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুমানা আক্তার, সহকারী পুলিশ সুপার (কসবা সার্কেল) নাহিদ হাসান, আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান।