বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মামুনুলকে দেখে স্লোগান দিয়ে ২ অনুসারী ধরা

  •    
  • ১৩ ডিসেম্বর, ২০২১ ২২:৫৪

পুলিশ জানায়, ধর্ষণ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামি মামুনুলকে কাশিমপুর কারাগারে নেয়ার জন্য প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। গাড়িটি আদালত ফটকের বাইরে এলে দুজন স্লোগান দিয়ে বিশৃঙ্খলা করতে চাইলে পুলিশ তাদের আটক করে।

ধর্ষণ মামলায় আটক হেফাজতে ইসলামের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের পক্ষে আদালত প্রাঙ্গণে স্লোগান দেয়ায় দুই অনুসারীকে আটক করেছে পুলিশ।

সোমবার মামুনুল হকের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন সোনারগাঁওয়ের রয়্যাল রিসোর্টের তিন কর্মচারী। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে দুপুরের দিকে মামুনুলকে বহনকারী প্রিজন ভ্যান আদালতের বাইরে এলে তার পক্ষে স্লোগান দেন ওই দু'জন। এ সময় পুলিশ তাদের আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের সোনারগাঁও থানায় পুলিশের করা নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন ঢাকার কেরানীগঞ্জের কালিন্দী গ্রামের মাহমুদুল হাসান ও টাঙ্গাইলের বেড়ীপটল গ্রামের মোহাম্মদ আলী।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিবি) জাহেদ পারভেজ নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ধর্ষণ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামি মামুনুলকে কাশিমপুর কারাগারে নেয়ার জন্য প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। গাড়িটি আদালতের ফটকের বাইরে গেলে ওই দুজন স্লোগান দিয়ে বিশৃঙ্খলা করতে চাইলে পুলিশ তাদের আটক করে।

পুলিশ কর্মকর্তা জাহেদ পারভেজ জানান, রাত ৮টা পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদের পর তাদের নাশকতা মামলার সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। মামলাটির তদন্তে রয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ। মঙ্গলবার তাদের আদালতে পাঠানো হবে।

আদালত পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান নিউজবাংলাকে জানান, মামুনুল হককে আদালতে আনার খবর পেয়ে তার অনেক অনুসারী আদালত চত্বরে জড়ো হন। তারা ফটকের বাইরে ছিলেন।

তিনি জানান, সকাল থেকে আদালতের গেট দিয়ে বহিরাগতদের প্রবেশ বন্ধ করে দেয়া হয়। আদালত এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ছিল।

মামুনুলের বিরুদ্ধে আদালতে সাক্ষ্য

ধর্ষণ মামলায় হেফাজতে ইসলামের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের বিরুদ্ধে আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন সোনারগাঁওয়ের রয়্যাল রিসোর্টের তিন কর্মচারী।

জান্নাত আরা ঝর্ণাকে ধর্ষণ মামলায় সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মামুনুল হককে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালতে তোলা হলে ওই তিনজন সাক্ষ্য দেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রকিবুদ্দিন আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ধর্ষণ মামলায় সাক্ষ্য দিতে রয়্যাল রিসোর্টের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ পাঁচজন আদালতে আসেন। তাদের মধ্যে তিনজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করে আদালত। তারা হলেন রিসোর্টের সুপারভাইজার, রিসেপশনিস্ট ও নিরাপত্তা প্রহরী।’

সাক্ষীরা এ সময় আদালতকে জানান, ঘটনার শুরুতে মামুনুল হক তার স্ত্রী পরিচয়ে ঝর্ণাকে নিয়ে রিসোর্টে রুম ভাড়া নেন। মামুনুল যখন ঝর্ণাকে নিয়ে রিসোর্টের একটি কক্ষে অবস্থান করছিলেন, সে সময় স্থানীয় লোকজন সেখানে উপস্থিত হয়। পরে পুলিশ গিয়ে মামুনুলকে জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারে যে ঝর্ণা তার স্ত্রী নন।

সাক্ষীরা আরও জানান, ঝর্ণাকে নিয়ে মামুনুল ওই কক্ষে অন্তত পৌনে ১ ঘণ্টা দরজা বন্ধ করে ছিলেন।

সরকারি কৌঁসুলি বলেন, ‘আদালত তিনজনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে পরবর্তী তারিখে অন্য সাক্ষীদের হাজির থাকতে বলেছেন।’

কঠোর নিরাপত্তায় সোমবার সকাল ১০টার দিকে কাশিমপুর কারাগার থেকে মামুনুলকে নারায়ণগঞ্জের আদালতে নেয়া হয়। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে তাকে আবারও কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়।

এদিকে সোমবার সকাল থেকেই মামুনুলের অনুসারীরা আদালতের আশপাশে অবস্থান নেন। তবে মামুনুলকে আদালত ভবনের তৃতীয় তলায় নেয়ার পর নিচতলার উভয় পাশের কলাপসিবল গেট বন্ধ করে দেয় পুলিশ। আদালত ভবনে ঢুকতে দেয়া হয়নি গণমাধ্যমকর্মীদেরও।

এ বিভাগের আরো খবর