বরগুনার আমতলীতে প্রেমিকাকে ঘুরতে নিয়ে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সোমবার দুপুরে ওই কিশোরীকে উপজেলার গাজীপুর গ্রাম থেকে উদ্ধার করে আমতলী থানা পুলিশ। আর ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে প্রেমিক জুয়েল ও তার সহযোগী কাওসারকে আটক করা হয়।
কিশোরীর পরিবার ও স্থানীয়রা জানায়, কিশোরীর সঙ্গে দুই মাস আগে মোবাইলে কথাবার্তার মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন জুয়েল মৃধা। এরপর নভেম্বরে তারা দেখা করেন।
রোববার সকালে ওই কিশোরী উপজেলার গাজীপুর গ্রামে তার এক স্বজনের বাড়িতে যায়। রাত ৮টার দিকে কেনাকাটার নাম করে সেই বাসা থেকে বের হয়ে গাজীপুর বন্দরে গিয়ে প্রেমিক জুয়েলের সঙ্গে দেখা করে সে। পরে জুয়েল কৌশলে কিশোরীকে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে যান। রাত ১০টার দিকে জুয়েল ও তার সহযোগী কাওসার একটি ধানক্ষেতের মধ্যে কিশোরীকে ধর্ষণ করেন।
তারা আরও জানান, ওই রাতে কিশোরীকে গাজীপুরের বাসিন্দা কাওসারের বাড়িতে রাখা হয়। সোমবার ভোরে তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়া হলে কান্নাকাটি শুরু করে। পরে স্থানীয় একজনকে জানালে তিনি কিশোরীকে স্থানীয় ইউপি সদস্য জোসেফ তালুকদারের বাড়িতে নিয়ে যান।
ইউপি সদস্য সব শোনার পর গ্রাম পুলিশ পাঠিয়ে জুয়েল ও কাওসারকে তার বাড়িতে নিয়ে যান। পরে পুলিশকে জানানো হলে ঘটনাস্থলে গিয়ে জুয়েল ও কাওসারকে আটক এবং কিশোরীকে উদ্ধার করে থানায় নেয় তারা।
ইউপি সদস্য জোসেফ তালুকদার জানান, কিশোরীর অভিযোগ শোনার পর অভিযুক্তদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। প্রাথমিকভাবে তারা স্বীকার করায় পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।
আমতলী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রণজিৎ কুমার সরকার জানান, এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে। প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় দুজনকে আটক করা হয়েছে। কিশোরীকে থানায় আনা হয়েছে। আগামীকাল তার মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য আদালতে আবেদন করা হবে।