লড়াই করে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবেন বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
সোমবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে বিএনপি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা জানান।
খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘খালেদা জিয়ার প্রতি অবিচারের বিচার করবে স্রষ্টা। লড়াই-আন্দোলনে খালেদাকে মুক্ত করা হবে। বুদ্ধিজীবী হত্যা ও বিএনপির নেতা-কর্মীকে হত্যার মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। উদ্দেশ্য একই।’
‘ক্ষমতাসীনরা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘যারা বিশ্বের বুকে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে, তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণতন্ত্র ও খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। দেশে আজ ক্রান্তিকাল চলছে। সব কিছুর ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে সরকার।’
খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫০ বছরে প্রথমবারের মতো র্যাব কর্মকর্তাদের নিষেধাজ্ঞার ঘটনা লজ্জাজনক। যারা বিশ্বের বুকে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে, তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণতন্ত্র ও খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। আন্দোলন ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই। বিএনপির এখনকার দায়িত্ব গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা।’
‘খালেদা জিয়ার বিদেশ চিকিৎসায় আইনগত বাধা রয়েছে’ সরকারের এমন বক্তব্যের বিরোধিতা করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘শর্ত তুলে সংশোধনী দিলেই খালেদা বিদেশে চিকিৎসা নিতে পারে। আইন নয়, সরকার ও সরকারপ্রধানই বাধা।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ‘৭১-এর মতোই গত ১০ বছরে রাজনীতি ও মেধাশূন্য করতে বিএনপির ৫০০ জনকে গুম ও হত্যা করে সরকার অরাজক পরিস্থিতির সুযোগ তৈরি করছে।’
স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, ‘খালেদা জিয়া ও গণতন্ত্র মুক্তির জন্য আরেকটা যুদ্ধ করতে হবে। র্যাব কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেশের জন্য লজ্জা ও কলঙ্কের।’
বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানির সঞ্চালনায় ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু , ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান প্রমুখ বক্তব্য দেন।