অবৈধভাবে গড়ে ওঠা বিড়ি/সিগারেট কারখানা দ্রুত বন্ধ এবং সরঞ্জামাদি জব্দ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
এ বিষয়ে একটি রিটের শুনানির পর সোমবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ আদেশটি দেয়।
অবৈধ বিড়ি ও সিগারেট উৎপাদন ও বিক্রি বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়।
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব, বন ও পরিবেশ সচিব, শিল্প সচিব, শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিবসহ ৯ জনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শেখ রফিকুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
এর আগে সারা দেশে অবৈধ বিড়ি-সিগারেট ফ্যাক্টরি নিয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদন যুক্ত করে জনস্বার্থে হাইকোর্টে ওই রিট দায়ের করেন মাদকদ্রব্য ও নেশাবিরোধী কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক পারভীন আক্তার।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে অবৈধভাবে উৎপাদন ও বিক্রি হচ্ছে নিম্নমানের সিগারেট। যে কারণে প্রতি বছর সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এসব সিগারেট সরকার নির্ধারিত দামের তুলনায়ও কমে বিক্রি হচ্ছে। ফলে অনেক ক্রেতা এতে আকৃষ্ট হচ্ছেন। সংশ্লিষ্ট বিভাগের নজরদারি ঘাটতির সুযোগ নিয়ে ক্রমে বিস্তৃত হচ্ছে অবৈধ সিগারেটের এ বাজার।
প্রতিবেদনে বেশকিছু প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। সেগুলো হলো- কিশোরগঞ্জের হেরিটেজ কাকো ও তারা ইন্টারন্যাশনাল টোব্যাকো, চট্টগ্রামে ইন্টারন্যাশনাল টোব্যাকো, মানিকগঞ্জের বিউটি টোব্যাকো, গাজীপুরের ভার্গো মাক্যে, কুষ্টিয়ায় এইচআরএস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, রংপুরে এসডি টোব্যাকো লিমিটেড, নরসিংদীতে ব্ল্যাক টোব্যাকো কোম্পানি, সাম্বারের বিজয় ইন্টারন্যাশনাল টোব্যাকো, নোয়াখালীতে ইনডিপেন্ডেন্ট টোব্যাকো, কুষ্টিয়ায় এএলএম টোব্যাক্যে, বগুড়ায় এবি টোব্যাকো, নাটোরের সামির টোব্যাকো প্রভৃতি।