করোনাভাইরাসের টিকা না পাওয়ায় মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভাঙচুর চালিয়েছে শিক্ষার্থীরা। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মনিরুজ্জামান ফকির এই তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, সদর হাসপাতালে সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শিক্ষার্থীরা হাসপাতালে যান ফাইজারের টিকা নিতে। সেখানে গিয়ে শোনেন টিকা শেষ, নতুন সরবরাহ না আসা পর্যন্ত টিকাদান বন্ধ থাকবে।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ করে শতাধিক শিক্ষার্থী। এক পর্যায়ে তারা হাসপাতালের নবনির্মিত ভবনে ভাঙচুর চালায়। পুলিশ সেখানে গিয়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
মাদারীপুর সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির ব্যবসায় শিক্ষা শাখার ছাত্র আব্দুল আলিম জয় বলেন, ‘হাসপাতালের গেটের সামনে টিকা নিতে আসলে পুলিশ বাঁধা দেয়। পরে জানতে পারি শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দ ভ্যাকসিন শেষ। এই বিষয়টি যদি আমাদের আগে জানানো হতো, তাহলে এত দূর থেকে আমরা কেউ আসতাম না।’
সরকারি শামচুন্নাহার বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী মিতু আক্তার বলেন, ‘বান্ধবীদের সঙ্গে টিকা দিতে আসছিলাম। লাইনেও দাঁড়িয়ে ছিলাম। পরে শুনি আমাদের জন্য কোনো টিকা নেই।’
সদর হাসপাতালের টিকা কার্যক্রমের সমন্বয়কারী ডা. ইকরাম হোসেন জানান, জেলায় ১৮ হাজার ৭২০ জন এইচএসসি ও আলিম পরীক্ষার্থীদের ফাইজারের টিকা দেয়া হয়। রোববার বিকালেই চলমান কার্যক্রম শেষ হয়ে যায়। শিক্ষা কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানালেও তিনি বার্তাটি শিক্ষার্থীদের না পৌঁছানোর কারণে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান ফকির বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা অতি উৎসাহী হয়ে হাসপাতালে ভাঙচুর চালায়। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থেকে পাঠানো বার্তাটি শিক্ষার্থীরা পেলে এমন পরিস্থিতি হতো না।’
জেলা সিভিল সার্জন মুনির আহম্মেদ খান বলেন, ‘১৬ নভেম্বর থেকে শুরু হয়ে ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ফাইজারের টিকা দেয়া হয়েছে। টিকা শেষ হয়ে যাওয়ায় সোমবার শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়া হয়নি।
‘দুয়েকদিনের মধ্যেই আরও অনেক টিকা মাদারীপুরে আসবে। আমি জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে শিক্ষার্থীদের তালিকা চেয়েছি। এখন থেকে শিক্ষার্থীদের তালিকা অনুযায়ী টিকা দেয়া হবে।’