ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির সঙ্গে যুক্ত হয়ে মামলায় পড়ে হয়রানি হওয়া প্রত্যাশার বাইরে ছিল বলে উল্লেখ করেছেন অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, ইভ্যালি সম্পর্কে সবার যে মূল্যায়ন, আমারও তা-ই।
সোমবার হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন পাওয়ার পর মিথিলা এমন মন্তব্য করেন।
মিথিলা সাংবাদিকদের বলেন, ‘মহামান্য আদালত বলেছেন, যেই মামলাটি আমার বিরুদ্ধে করা হয়েছে সেটার আসলে খুব একটা ভিত্তি নেই, ভিত্তিটা স্ট্রং না। সেই কারণে আমাকে জামিন দিয়েছেন। আইনের প্রতি আমার আস্থা আছে। আমি আশা করছি যে শিল্পীরা হয়রানির শিকার হবে না। শুধু এখন নয়, ভবিষ্যতেও।’
তিনি বলেন, ‘আমি যখন ইভ্যালিতে জয়েন করি তার আগে থেকেই প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে ৪০ লাখ গ্রাহক যুক্ত ছিল, আস্থা রেখেছিল। তাই আমিও আস্থা রেখেছিলাম।’
মিথিলা বলেন, ‘ভবিষ্যতে অবশ্যই সতর্ক হয়ে কাজ করব। অসম্ভব হয়রানির ভেতর দিয়ে গিয়ে যেটা শিখলাম, সেটা হচ্ছে আমাদের শিল্পীদের সহযোগিতা করার জন্য সেইভাবে আইনজীবী নেই। এসব বিষয়ে ডিল করার জন্য আমাদের কোনো এজেন্সি নেই। এখন যে হয়রানির শিকার হলাম, তার জন্য আমি প্রস্তুত ছিলাম না। আমি একশর বেশি ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হয়েছি। যেগুলো বাংলাদেশের অনেক বড় বড় ব্র্যান্ড। এ ধরনের হয়রানির জন্য আমি একেবারেই প্রস্তুত ছিলাম না।’
বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ অভিনেত্রী মিথিলা ও শবনম ফারিয়াকে আট সপ্তাহের জামিন দেয়। একই সঙ্গে ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টকেও জামিন বিবেচনা করতে বলেছে আদালত।
সোমবার এ দুই অভিনেত্রী হাইকোর্টে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করেন। আদালতে জামিন আবেদনে মিথিলার পক্ষে ছিলেন ইমতিয়াজ ফারুক, সঙ্গে ছিলেন নিয়াজ মোর্শেদ। আর শবনমের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ন, জেড আই খান পান্না ও জেসমিন সুলতানা।
এ দুই অভিনেত্রীর জামিন আবেদনকে কেন্দ্র করে আদালতে আইনজীবী ও সাংবাদিকদের বেশ ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গত ৪ ডিসেম্বর অভিনেতা-মডেল তাহসান খান, রাফিয়াত রশিদ মিথিলা, শবনম ফারিয়াসহ নয়জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। সাদ স্যাম রহমান নামে ইভ্যালির এক গ্রাহক ধানমন্ডি থানায় মামলাটি করেন। মামলায় নয় আসামির মধ্যে ইভ্যালির এমডি মোহাম্মদ রাসেল এবং চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের নামও রয়েছে।