মদকে মাদকদ্রব্যের আইনের সংজ্ঞায় অন্তর্ভুক্ত করা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।
সোমবার বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে সংশ্লিষ্ট আদালতের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাস গুপ্ত জানান, চার সপ্তাহের মধ্যে আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, অর্থ সচিব ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিচালককে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
মদকে মাদকদ্রব্যের বাইরে রাখতে নির্দেশনা চেয়ে আদালতে রিট করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের আরজে টাওয়ার হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ফারুক।
আদালতের আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আহসানুল করিম। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মদ এবং অন্যান্য মাদকদ্রব্যকে একই সংজ্ঞায় সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। অনেক মাদকদ্রব্য আছে, যেগুলো আমদানিযোগ্য না, যেগুলো বহন করা অপরাধ। অ্যালকোহল আমদানি-রপ্তানিযোগ্য পণ্য। কিন্তু ইয়াবা, আইসসহ আরও অনেক মাদকদ্রব্য আছে যেগুলো নিষিদ্ধ পণ্য। এগুলো তো আমদানি বা রপ্তানিযোগ্য না। সে জন্য যারা ব্যবসা করেন, তাদের জন্য সমস্যার সৃষ্টি হয়।’
সম্প্রতি রাজধানীর গুলশান ক্লাবে অভিযান চালিয়ে এসব মদ জব্দ করে র্যাব। ফাইল ছবি
তিনি বলেন, ‘এখন সমস্যা হলো পানযোগ্য অ্যালকোহল এবং নিষিদ্ধ মাদককে একই সংজ্ঞায় সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। এটার জন্য অ্যালকোহল যারা বিক্রি করেন, আমদানি করেন বা রপ্তানি করেন, তাদের জন্য সমস্যা হয়। তার কারণ, এগুলোও তখন মাদকদ্রব্য হিসেবে চিহ্নিত হয়। এর ফলে তাদের ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
‘সুতরাং এই আইনকে এক সূত্রে করা বা একই সংজ্ঞায় করা কেন সংবিধানের ৩১ ও ৪০ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না জানতে চেয়ে আদালত রুল জারি করেছে।’