বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রাতে অ্যাজমা বাড়ার কী কারণ

  •    
  • ১৩ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৮:২১

অ্যাজমা রোগীরা যে উপসর্গের কারণে শ্বাসকষ্টে ভোগেন তাকে বলা হয় ব্রঙ্কোকনস্ট্রিকশন। এর ফলে মূলত যে কোমল মাংসপেশীর ভেতর দিয়ে ফুসফুসে বাতাস চলাচল করে সেই পথটির সংকোচন ঘটে। আর এই পথটিকে প্রসারিত করতেই অ্যাজমা রোগীরা ইনহেলার ব্যবহার করেন।

রাতের বেলায় অ্যাজমা রোগীদের শ্বাসকষ্ট কেন বেড়ে যায় অনেকদিন ধরেই তা জানার চেষ্টা করছিলেন বিজ্ঞানীরা। দেখা গেছে, অ্যাজমায় আক্রান্তদের বেশিরভাগের মৃত্যু ঘটে রাতে।

এ সংক্রান্ত বিভিন্ন গবেষণায় শ্বাসকষ্ট বাড়ার কারণ খোঁজা হয়েছে। এতদিন বলা হচ্ছিল- রাতে শ্বাসকষ্ট বাড়ে এলার্জির কারণে কিংবা বাতাস চলাচলের পথ শীতল হয়ে যাওয়ার কারণে। ঘুমানোর সময় শোয়ার পজিশন ছাড়াও কিছু হরমোন নিঃসরণকেও দায়ী করা হচ্ছিল। তবে সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ এতদিন পাওয়া যায়নি।

এবার সেই কারণটিই খুঁজে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তারা দাবি করেছেন, ‘মেলাটোনিন’ এর জন্যই রাতে হাঁপানিতে আক্রান্ত রোগীদের শ্বাসকষ্ট বাড়ে।

মেলাটোনিন হলো এক ধরনের হরমোন; যা ঘুমের সংকেত বহন করে। এই মেলাটোনিন নিঃসরণের মাধ্যমেই মানুষসহ অন্যান্য প্রাণীর ঘুমানো ও জেগে ওঠার চক্র নিয়ন্ত্রিত হয়। রাতের অন্ধকার এই হরমোন নিঃসরণে উদ্বুদ্ধ করে।

তবে এই মেলাটোনিন ফুসফুসে বাতাস চলাচলের পথটিকে আরও সংকুচিত করে তোলে।

কেন্টারো মিজুতার নেতৃত্বে গবেষণাটি পরিচালনা করেছেন জাপানের তহুকো বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক। তারা জানিয়েছেন, অনেক সময় অনিদ্রায় রোগে ভোগা মানুষও এই হরমোন সমৃদ্ধ ওষুধ সেবন করেন। হরমোনটি দুই ভাবেই ব্রঙ্কোনস্ট্রিকশন তথা ফুসফুসে বাতাস চলাচলের পথকে সংকুচিত করে তোলে।

গবেষণাটি আমেরিকান জার্নাল অফ ফিজিওলজি লাং সেলুলার অ্যান্ড মলিকিউলার ফিজিওলজিতে প্রকাশিত হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, এমটিটু রিসেপ্টর প্রোটিন সক্রিয় করার মাধ্যমে শ্বাস-প্রশ্বাসের আরামদায়ক ব্যবস্থাকে দুর্বল করে দেয় মেলাটোনিন।

ফার্মালজিক্যাল থেরাপির মাধ্যমে এমটিটু রিসেপ্টর প্রোটিনকে বাধা দিয়ে অ্যাজমা রোগীর শ্বাসকষ্ট কমানো সম্ভব হবে বলেও আশা করছেন গবেষকেরা।

এ বিভাগের আরো খবর