দেশের প্রতিটি জেলায় মানসিক রোগের চিকিৎসার জন্য ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
রাজধানীর একটি হোটেলে সোমবার বিকেলে স্পেশাল ইনিশিয়েটিভ ফর মেন্টাল হেলথ কার্যক্রমের সূচনা ও অবহিতকরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।
জাহিদ মালেক বলেন, ‘জেলা পর্যায়ে মানসিক স্বাস্থ্যকে গুরুত্ব দিয়ে মানসিক স্বাস্থ্য রোগের চিকিৎসার ব্যবস্থা নেই। চিকিৎসার সংকট নিরসনে জেলায় জেলায় মেন্টাল হেলথ কর্নার বা সাইকিয়াট্রিক সেন্টার তৈরি করা হবে।’
দেশে দক্ষ জনসম্পদের সংকট রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা প্রতিটি জেলায় সাইকিয়াট্রিক সেন্টার তৈরি করলাম, তখন দেখা যাবে দক্ষ জনবলের অভাবে সেগুলো পড়ে থাকছে।
‘দেশে দক্ষ চিকিৎসক এবং দক্ষ স্বাস্থ্যকর্মীর অভাব রয়েছে, তাই আপনাদের অনুরোধ করব, সেন্টারগুলো যথাযথভাবে পরিচালনা যাতে হয়; সে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে।’
জাহিদ মালেক বলেন, ‘আত্মহত্যা বা বিবাহবিচ্ছেদের ক্রমবর্ধমান হারের পেছনে মানসিক সমস্যা প্রধানত দায়ী। ব্যক্তির বিষণ্নতার প্রভাব পড়ছে জীবনে, পরিবারে। তছনছ হচ্ছে সংসার। বিবাহবিচ্ছেদ, আত্মহত্যার ঘটনাও ঘটছে।’
তিনি বলেন, ‘করোনার আগে আমি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলাম। তাদের অনুষ্ঠানে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে গুরুত্ব দেয়। আমরাও এ বিষয়টি গুরুত্ব দিচ্ছি। স্পেশাল ইনিশিয়েটিভ ফর মেন্টাল হেলথ কার্যক্রমের আওতায় বিশ্বের ১২ দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ৬ নম্বরে। এ জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে ধন্যবাদ।’
করোনার টিকার বুস্টার ডোজ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে ষাটোর্ধ্বদের ও ফ্রন্টলাইনারদের বুস্টার ডোজ দেয়া শুরু হবে।’
এ সময় ওমিক্রন মোকাবিলায় হাসপাতাল উন্নত করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষা ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বিভাগের মহাপরিচালক এনায়েতুল্লাহ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক হেলাল উদ্দিন।
এতে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও শিক্ষা সচিব আলী নূর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র রোবেদ আমিন প্রমুখ।