বিদেশি ব্যবসায়ীদের নিয়ে দেশে যৌথ বাণিজ্য সংগঠন তৈরির সুযোগ রেখে বাণিজ্য সংগঠন আইন, ২০২১-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার সকালে সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। এতে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন সরকারপ্রধান।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘এটা ট্রেড অরগানাইজেশন অর্ডিন্যান্স-১৯৬১ রহিত করে দুই-তিন বছর ধরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় চেষ্টা করছে। তারা বাণিজ্য সংগঠন আইন, ২০২১ নিয়ে এসেছেন। এখানে ৩২টি ধারা আছে।
‘বাণিজ্য সংগঠনে নারী উদ্যোক্তাদের লাইসেন্সের মাধ্যমে আইনি ভিত্তির বিধান রাখা হয়েছে। বাংলাদেশের সঙ্গে কূটনৈতিক বা বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে এ ধরনের কোনো দেশ বা অঞ্চলে ব্যবসা, শিল্প বা বাণিজ্য ও সেবা খাতে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য যৌথ চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি এবং একাধিক যৌথ চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সমন্বয়ে গঠিত চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি অ্যালায়েন্সের বিধান রাখা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘অন্য দেশ থেকে এসেও আমাদের দেশে এসে তারা (বিদেশি ব্যবসায়ীরা) একটি জয়েন্ট চেম্বার করতে পারবে। মেয়েদের জন্য আলাদা চেম্বারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। তারা মূল চেম্বারের সদস্য হতে পারবে, তবে শুধু নারী উদ্যোক্তাদের সংগঠিত করার জন্য আলাদা চেম্বার করতে পারবে।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘যেমন আমাদের ঢাকায় ঢাকা চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি রয়েছে আবার মেট্রোপলিটন চেম্বার রয়েছে। মেয়েরা যেহেতু এখনও পর্যন্ত ট্রু উদ্যোক্তা হিসেবে প্রমিনেন্ট হননি, সে জন্য তাদের কিছু প্রেফারেন্স দিতে আলাদা চেম্বারের কথা বলা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘মহিলা চেম্বারের যারা নেতারা থাকবেন, যেমন সভাপতি বা সেক্রেটারি, তারা মেইন চেম্বারের বোর্ডের মেম্বার থাকবেন। দে উইল বি গাইডেড বাই এফবিসিসিআই। সব জেলায় মহিলা চেম্বার নেই, ৩৪টি জেলায় আছে। যেখানে হয়তো কমফরটেবল সিনারিও নেই, সেখানে হবে না।
‘তবে প্রভিশনটা রেখে দেয়া হয়েছে। এটার জন্য একটি লাইসেন্স নিতে হবে এবং ফিও দিতে হবে। সেন্ট্রাল যে চেম্বার থাকবে, তার সঙ্গে তাদের লিংক থাকবে।’