বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘মুরাদের চেয়ে জঘন্য কথার পরেও আলালকে বিএনপির সমর্থন’

  •    
  • ১৩ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৬:০৬

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেবকে আমি পাল্টা প্রশ্ন করতে চাই। মুরাদ যা বলেছে, তার চেয়েও ঘৃণ্য ও জঘন্য কথা বলার পরে আলালকে তিনি সমর্থন করেছেন। এটা হলো আওয়ামী লীগের সঙ্গে তাদের পার্থক্য। এত অশ্রাব্য ও অশোভন বক্তব্য কী করে মির্জা ফখরুল সমর্থন করেন। আমরা তো মুরাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছি। তারা আলালকে বহিষ্কার তো দূরের কথা, নৈতিক সমর্থন দিয়েছেন।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে অশালীন বক্তব্য দেয়ার পরেও বিএনপি দলটির নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে নৈতিক সমর্থন দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদের মুখের ভাষা আওয়ামী লীগের আসল চেহারা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেবকে আমি পাল্টা প্রশ্ন করতে চাই। মুরাদ যা বলেছে, তার চেয়েও ঘৃণ্য ও জঘন্য কথা বলার পরে আলালকে তিনি সমর্থন করেছেন। এটা হলো আওয়ামী লীগের সঙ্গে তাদের পার্থক্য। এত অশ্রাব্য ও অশোভন বক্তব্য কী করে মির্জা ফখরুল সমর্থন করেন। আমরা তো মুরাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছি। তারা আলালকে বহিষ্কার তো দূরের কথা, নৈতিক সমর্থন দিয়েছেন।’

সোমবার আওয়ামী লীগ সভাননেত্রী শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

র‌্যাবের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে পুলিশের আইজিপিসহ সাত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা জঙ্গিবাদকে উৎসাহিত করবে বলেও মনে করছেন ওবায়দুল কাদের।

যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল। বিজয়ের মাসে সাত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা নতুন করে কোনো ষড়যন্ত্রের অংশ কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ষড়যন্ত্রের বিষয় তো অবশ্যই আছে। আমি বলেছি, আমাদের এই বিজয়ের মাসে যুক্তরাষ্ট্রের যে বক্তব্য সেটা দেশের জঙ্গিবাদ ও তাদের পৃষ্ঠপোষক এবং সন্ত্রাসীদের উৎসাহী করবে। মূল কথা হচ্ছে এটা।’

নির্বাচনে এই নিষেধাজ্ঞার কোনো প্রভাব পড়বে কি না জানতে চাইলে কাদের বলেন, ‘র‌্যাব নিয়ে যুক্তরাষ্ট যে বক্তব্য দিয়েছে সেটি নিয়ে রোববার দলের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছি। এ নিয়ে আমরা ঘাঁটাঘাঁটি করতে চাই না। এই নিয়ে দেশটির সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের কোনো প্রভাব ফেলবে না। আমাদের নির্বাচনে তার প্রভাব পড়ার কোনো কারণ নেই। আমাদের নির্বাচন আমরাই করব, এখানে কি আমরা যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবে নির্বাচন করব?’

রোববার ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের দ্বারপ্রান্তে এসে র‍্যাব ও সাত কর্মকর্তাকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের এমন একটি সিদ্ধান্তে (নিষেধাজ্ঞা আরোপ) আমরা বিস্মিত এবং ব্যথিত হয়েছি।’

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের দলীয় মেয়র প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনি প্রচার পরিচালনার জন্য একটি সমন্বয় কমিটি করা হয়েছে বলে জানান ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, ‘এ কমিটির সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করবেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক। সদস্যসচিব থাকবেন সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম। আমরা যারা সাংসদ, তারা যেতে পারব না। তবে নন-এমপিদের সুবিধা। এই কমিটিতে আরও কয়েকজন থাকবেন।’

প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানের মুখের ভাষা আওয়ামী লীগের আসল চেহারা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে কাদের বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেবকে আমি পাল্টা প্রশ্ন করতে চাই। মুরাদ যা বলেছে, তার চেয়েও ঘৃণ্য ও জঘন্য কথা বলার পরে আলালকে তিনি সমর্থন করেছেন। এটা হলো আওয়ামী লীগের সঙ্গে তাদের পার্থক্য। এত অশ্রাব্য ও অশোভন বক্তব্য কী করে মির্জা ফখরুল সমর্থন করেন। আমরা তো মুরাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছি। তারা আলালকে বহিষ্কার তো দূরের কথা, নৈতিক সমর্থন দিয়েছেন।’

মুজিববর্ষে প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতাদের সংবর্ধনা কর্মসূচির বাস্তবায়ন সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মুজিববর্ষ শেষ হয়ে যায়নি। আগামী মার্চ পর্যন্ত চলবে। এর মধ্যে আমাদের অনেক কাজ হয়ে গেছে। লেখা সংগ্রহ করা, জেলা পর্যায় থেকে প্রবীণ তালিকা নেয়া হয়ে গেছে। এখন আমাদের সুবিধা মতো সময়ে মার্চের মধ্যে আয়োজন করব।’

১৬ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রীর পরিচালনায় যে শপথ অনুষ্ঠান হবে তাতে সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে অংশ নেয়ার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, ‘শুধু ঢাকায় নয়, একই সঙ্গে সারা দেশে এই চেতনা ছড়িয়ে দিতে চাই। শুধু আমাদের নেতা-কর্মীরা নয়, মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের, অসাম্প্রদায়িক চেতনার সকল শ্রেণি-পেশার জনগণকেও আমরা এতে অংশগ্রহণের উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রীর শপথ অনুষ্ঠান, এটি জাতির অনুষ্ঠান।’

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ফারুক খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন, অর্থবিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিকা আয়শা খান, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, কৃষি সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী এবং বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন।

এ বিভাগের আরো খবর