বহুবিবাহের অনুমতি সংক্রান্ত মুসলিম পারিবারিক আইনের ৬ ধারা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে।
সোমবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান এই রিট দায়ের করেন।
রিটে বহুবিবাহের অনুমতি সংক্রান্ত মুসলিম পারিবারিক আইনের ৬ ধারা অসাংবিধানিক ঘোষণার আবেদন জানানো হয়েছে।
রিটে বিবাদী করা হয়েছে আইন সচিব, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক সচিব এবং ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিবকে।
আবেদনে বলা হয়, ইসলাম ধর্মে এক স্ত্রী থাকাবস্থায় পুরুষের একাধিক বিয়ে করার বিধান রয়েছে। একসঙ্গে চার স্ত্রী পর্যন্ত রাখার অনুমতি থাকলেও পবিত্র কুরআনে সকল স্ত্রীর সমান অধিকার নিশ্চিত করার জন্য জোর তাগিদ দেয়া হয়েছে।
কিন্তু মুসলিম পারিবারিক আইন-১৯৬১ এর ৬ ধারায় বহু বিবাহের যে বিধান করা হয়েছিল তাতে সব স্ত্রীর সমান অধিকার নিশ্চিত করার বিষয়টি উপেক্ষিত।
স্বামীর বহুবিবাহের ফলে বর্তমান স্ত্রীর ক্ষতিগ্রস্ত হবার সম্ভাবনা বেশি থাকলেও তার মতামত উপেক্ষা করে সালিশী কাউন্সিলকে অনুমতি দেয়ার সর্বময় ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। এমনটি বর্তমান স্ত্রীর সাংবিধানিক অধিকারকে ক্ষুণ্ন করে।
আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেন, ‘মুসলিম পারিবারিক আইনের বিষয়ে পারিবারিক আদালতে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এখানে বহুবিবাহের মত গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু কেবল সালিশী কাউন্সিলের হাতে দেয়া হয়েছে, যা নারীর মৌলিক অধিকারের পরিপন্থি।’
তিনি জানান, উন্নত মুসলিম দেশগুলোতে বহুবিবাহের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য পরীক্ষার সনদ, আর্থিক সক্ষমতার সনদ ইত্যাদি দাখিল করে বর্তমান স্ত্রীর বক্তব্য শুনানি করে আদালতের অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু বাংলাদেশে সালিশী কাউন্সিলের সাক্ষ্য-প্রমাণ নেয়ার আইনগত সুযোগ নেই।
বহুবিবাহের বর্তমান যে বিধান রয়েছে তা সংশোধন করে আরও কঠোর বিধান করা উচিত বলে মনে করেন ইশরাত। এজন্যই রিট করেছেন তিনি।