এক দিনের ব্যবধানেই বিপরীত চিত্র। সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে দিন লাফ দেয়া স্বল্প মূলধনি বেশিরভাগ কোম্পানির দর পড়ে গেছে দ্বিতীয় দিনে।
আগের দিন সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পাওয়া ৫০টি কোম্পানির প্রায় সবগুলোই ছিল স্বল্প মূলধনি। পরের দিন সবচেয়ে বেশি দর হারানো বেশিরভাগ কোম্পানিই স্বল্প মূলধনির।
রোববারের মতোই সূচক পড়ল সোমবারও। তবে পতনের হার কিছুটা কম। আগের দিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক থেকে হারিয়ে গিয়েছিল ৬৪ পয়েন্ট, আজ কমল ৩৮ পয়েন্ট।
লেনদেন নেমে এসেছে আট মাসের সর্বনিম্ন অবস্থানে। দিন শেষে হাতবদল হয়েছে ৬৯৬ কোটি ১৬ লাখ ৬১ হাজার টাকা। এর চেয়ে কম লেনদেন ছিল গত ১৮ এপ্রিল। করোনার জন্য দেয়া লকডাউনের সেই সময়ে তখন লেনদেন নেমেছিল তলানিতে। হাতবদল হয়েছেল ৬০২ কোটি ৭৬ লাখ ৯১ হাজার টাকা।
তবে ওই সময়টায় পুঁজিবাজার তলানি থেকে উঠে আসার চেষ্টায় ছিল, যে কারণে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আশা তৈরি হয়েছিল। আর বর্তমান সময়টায় তুঙ্গে থেকে পুঁজিবাজার কেবল পড়ছেই।
পুঁজিবাজারে আরও একটি বাজে দিনে বিনিয়োগকারীরা শেয়ার না কিনে হাত গুটিয়ে বসে
গত বৃহস্পতিবার পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি সিদ্ধান্ত নেয়, যেসব কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ৩০ কোটি টাকার কম, তাদেরকে এক বছরের মধ্যে মূলধন এই পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে। যেসব কোম্পানির মূলধন ২০ কোটি টাকার বেশি, তারা সময় পাবে ৬ মাস, আর যেগুলোর মূলধন ২০ কোটি টাকার কম, তারা সময় পাবে এক বছর।
মূলধন বাড়ানোর ক্ষেত্রে বোনাস শেয়ার, রাইট শেয়ার বা রিপিট আইপিওর পরামর্শ দেয় বিএসইসি। আর এই খবরে রোববার যাচাই বাছাই ছাড়া দাম বাড়তে থাকে।
পুঁজিবাজারে এই ধরনের স্বল্প মূলধনি কোম্পানি আছে মোট ৬৪টি। এর মধ্যে এর মধ্যে ২০ কোটি টাকার বেশি আর ৩০ কোটি টাকার কম, এমন কোম্পানির সংখ্যা ১৪টি। পরিশোধিত মূলধন ১০ থেকে ২০ কোটি টাকা- এমন কোম্পানির সংখ্যা ২০টি। ৫ থেকে ১০ কোটি টাকা মূলধনের কোম্পানির সংখ্যা ১৭টি আর ৫ কোটি টাকার নিচে মূলধনের কোম্পানি ১৩টি।
এসব কোম্পানির মধ্যে বহুগুলো লোকসানি, বছরের পর বছর লভ্যাংশ দিতে পারেনি। কোনো কোনোটির উৎপাদন বন্ধ, ঋণে জর্জর। কিন্তু দাম বেড়েছে প্রায় সবগুলোর।
কিন্তু একটি বিষয় বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টি এড়িয়ে যায়। সেটি হলো পর পর তিন বছর মুনাফায় না থাকলে রিপিট আইপিও করা যাবে না, রিজার্ভ টাকা না থাকলেও বোনাস ও রাইটও দেয়া যাবে না।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদের একটি বক্তব্যও লেনদেনের পর বিনিয়োগকারীদের মধ্যে প্রভাব ফেলে। তিনি জানিয়েছেন, তারা কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে প্রস্তাব চাইবেন, যারা কোম্পানি পুনর্গঠন করার মতো অবস্থায় না, তাদেরকে এসএমই বোর্ডে নিয়ে যাওয়া হবে।
সেই বোর্ডে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা লেনদেন করতে পারে না। এসএমই বোর্ডে এখন পর্যন্ত ছয়টি কোম্পানি আছে। মূল বাজারের সঙ্গে তুলনা করলে সেখানকার কোম্পানিগুলোর শেয়ারগুলো এত বেশি নয়। নতুন তালিকাভুক্ত দুটি কোম্পানি তিন মাসের মধ্যেই অভিহিত মূল্যের নিচে নেমে গেছে।
এই অবস্থায় দ্বিতীয় দিনেই কিছুটা ‘হুঁশ ফেরে’ বিনিয়োগকারীদের। আর এই প্রক্রিয়ায় আগের দিন বেশি দরে যারা শেয়ার কিনেছিলেন, তারা এক দিনেই পড়েছেন লোকসানে।
দেশ গার্মেন্টসের দর আগের দিন ১৭৫ টাকা থেকে ১৮১ টাকা ৩০ পয়সা হয়ে গিয়েছিল। সেটি দর হারিয়েছে ১৪ টাকা ৭০ পয়সা। শেয়ারদর দাঁড়িয়েছে ১৬৬ টাকা ৬০ পয়সা।
এএমসিএল প্রাণের শেয়ারদর ২৬৯ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছির ২৭৩ টাকা ৭০ পয়সা। এই কোম্পানি দর হারিয়েছে ১৮ টাকা ৯০ পয়সা। শেয়ারদর দাঁড়িয়েছে ২৫৪ টাকা ৮০ পয়সা।
আগের দিন লোকসানি নর্দার্ন জুটের দর ২৯২ টাকা ৩০ পয়সা থেকে হয়ে যায় ৩১০ টাকা ১০ পয়সা। সেটি দর হারিয়েছে ১৮ টাকা ৭০ পয়সা। শেয়ারদর দাঁড়িয়েছে ২৯১ টাকা ৪০ পয়সা।
বঙ্গজের শেয়ারদর আগের দিন ১২৫ টাকা ৮০ পয়সা থেকে হয়ে যায় ১৩১ টাকা ৬০ পয়সা। সেটি দর হারিয়েছে ৭ টাকা ৯০ পয়সা। শেয়ারদর দাঁড়িয়েছে ১২৩ টাকা ৭০ পয়সা।
বিডি ল্যাপসের দর আগের দিন ২০৫ টাকা ৩০ পয়সা থেকে হয়ে যায় ২১৯ টাকা ৫০ পয়সা। সেটি দর হারিয়েছে ১৩ টাকা ১০ পয়সা। শেয়ারদর দাঁড়িয়েছে ২০৬ টাকা ৪০ পয়সা।
সূচক পতনের যেসব কোম্পানির কারণে
স্বল্প মূলধনি কোম্পানি শেয়ারের দরপতন হলেও সূচকে এসব কোম্পানির অবদান থাকে কমই। যে কারণে সূচকে নেতিবাচক প্রভাব রাখা ১০টির একটি মাত্র কোম্পানি ছিল এই ধরনের।
টানা দ্বিতীয় দিন সূচক পতনে প্রধান ভূমিকায় ছিল বেক্সিমকো লিমিটেড। ৩.৪৪ শতাংশ দরপতনে সূচক থেকে কমেছে ১০.৮৪ পয়েন্ট।
সূচক পতনে প্রধান ভূমিকায় থাকা ১০ কোম্পানি
দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল বহুজাতিক ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো কোম্পানি। এই কোম্পানিটির ০.৫৫ শতাংশ দরপতনে সূচক কমেছে ৪.৩৭ পয়েন্ট।
এছাড়া ওয়ালটন, লিনডে বিডি, গ্রামীণ ফোন, বেক্সিমেকো ফার্মা, ওয়ান ব্যাংক, ইবিএল, ইউনিলিভার, রবির দরপতনের কারণেও সূচক পড়েছে সবচেয়ে বেশি।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানিই সূচক ফেলেছে ৩১.৪১ পয়েন্ট।
প্রধান খাতগুলোর মধ্যে এদিন সবচেয় বেশি দর হারিয়েছে প্রকৌশল, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক, ওষুধ ও রসায়ন, বিবিধ, বস্ত্র, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি এবং তথ্য প্রযুক্তির কোম্পানিগুলেঅ।
বিপরীতে কিছুটা হলেও ভালো দিন গেছে আর্থিক ও বিমা খাতে। ব্যাংক খাতে ওয়ান ছাড়া অন্য কোম্পানিগুলোর দরপতনের হারও বেশি ছিল না, তেমনি যেগুলোর দর বেড়েছে, সেগুলোও বেড়েছে কমই।
লেনদেনে আবার সেরা ব্যাংক খাত। এর পরের অবস্থান ছিল আর্থিক, ওষুধ ও রসায়ন, বস্ত্র, বিবিধ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত।
পতনের দিন সূচক কিছুটা হলেও বাড়িয়েছে এই ১০টি কোম্পানি
পতনের দিন সূচক আরও পড়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করেছে ব্র্যাক ব্যাংক, রেকিট বেনকিনজার, আইসিবি, সোনালী পেপার, পাওয়ারগ্রিড, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, সেনাকল্যাণ ইন্স্যুরেন্স, জিএসপি ফাইন্যান্স বাংলাদেশ সাবমেরিন কোম্পানি এবং আরামিট সিমেন্ট।
এই ১০টি কোম্পানি মিলিয়ে সূচক বাড়িয়েছে ১২.৪২ পয়েন্ট।
দর বৃদ্ধিতে ১০ কোম্পানি
দর বৃদ্ধিতে এগিয়ে ছিল সিমেন্ট খাতের আরামিট সিমেন্ট। শেয়ার প্রতি ৫০ পয়সা অন্তর্বর্তী লভ্যাংশ ঘোষণার খবরে ১৮.৫০ শতাংশ বেড়েছে দর। শেয়ারদর ৬ টাকা ৪০ পয়সা বেড়ে দিন শেষে স্থির হয়েছে ৪১ টাকা।
এমনিতে একটি কোম্পানির শেয়ারের দর বৃদ্ধি বা হ্রাস পেতে পারে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ। কিন্তু লভ্যাংশ সংক্রান্ত ঘোষণা থাকলে এই সীমারেখা থাকে না।
চার বছর পর মুনাফায় ফিরলেও গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য কোনো লভ্যাংশ না দেয়ার সিদ্ধান্তের পর কোম্পানিটির শেয়ারদরে ব্যাপক পতন হয়েছিল। জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রথম প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি ১ টাকা ৯৬ পয়সা লোকসানের তথ্য আসার পর আরেক দফা পড়ে দর।
এই সময়ের মধ্যে শেয়ারদর ৫৯ টাকা ১০ পয়সা থেকে ৩০ টাকা ১০ পয়সায় নেমে আসে। এরপর গত ৬ কর্মদিবসের মধ্যে ৫ দিন বেড়ে রোববার দর দাঁড়ায় ৩৪ টাকা ৬০ পয়সা। এর মধ্যে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ অন্তর্বর্তী লভ্যাংশ হিসেবে ৫ শতাংশ নগদ ঘোষণা করেছে।
কোম্পানিটিতে লেনদেন হয়েছে মোট ৩ কোটি ৫২ লাখ টাকা। হাতবদল হয়েছে ৮ লাখ ৫৭ হাজার ৯৯২টি শেয়ার।
আট মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেনের দিনে ব্যাংক ছাড়া কোনো খাতেই একশ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়নি
দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল নতুন তালিকাভুক্ত সেনাকল্যাণ ইন্স্যুরেন্স, শেয়ার দর বেড়েছে ৯.৮৯ শতাংশ। গত তিন কর্মদিবসে কোম্পানিটির শেয়ার দর কমলেও চতুর্থ কর্মদিবসে শেয়ার দর বেড়েছে দিনের সর্বোচ্চ। ১৪ কোটি ১ লাখ টাকার ১৭ লাখ ৪৫ হাজার ১৪৮টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
তৃতীয় অবস্থানে থাকা স্বল্প মূলধনি রহিম টেক্সটাইলের শেয়ার দর বেড়েছে ৭.২৩ শতাংশ। লেনদেন হয়েছে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা। হাতবদল হয়েছে মোট ৪১ হাজার ৮৬৩টি শেয়ার।
জিএসপি ফাইন্যান্সের শেয়ার দর ২৬ টাকা ২০ পয়সা থেকে ৬.৮৭ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ২৮ টাকা। ৪৮ কোটি টাকা লেনদেনে হাতবদল হয়েছে ১ কোটি ৭৯ লাখ ৮১ হাজার ৯৪৯টি শেয়ার।
স্বল্প মূলধনি ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টের দর বেড়েছে ৪.৯২ শতাংশ। এদিন চার শতাংশের বেশি শেয়ার দর বেড়েছে এমন কোম্পানি ছিল আরও দুটির। এগুলো হচ্ছে সোনালী পেপার ও প্রভাতী ইন্স্যুরেন্স।
তিন শতাংশের বেশি শেয়ার দর বেড়েছে পাঁচটি কোম্পানির। এরমধ্যে একমি পেস্টিসাইডের ৩.৮১ শতাংশ, স্বল্প মূলধনি রেকিট বেনকিনজারের ৩.৭৪ শতাংশ ও ফিনিক্স ফাইন্যান্সের ৩.১৫ শতাংশ।
এইগুলো ছাড়াও দুই শতাংশ থেকে তিন শতাংশ পর্যন্ত শেয়ার দর বেড়েছে আটটি কোম্পানির।
দর পতনের ১০ কোম্পানি
এদিন সবচেয়ে বেশি দর হারিয়েছে দেশ গামেন্টস। শেয়ারদর ১৮১ টাকা ৩০ পয়সা থেকে ৮.১০ শতাংশ কমে হয়েছে ১৬৬ টাকা ৬০ পয়সা।
কোম্পানিটির ১ কোটি ৭৭ লাখ টাকার ১ লাখ ৩ হাজার ৮১৫টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা এএমসিএল (প্রাণ) শেয়ার দর কমেছে ৬.৯০ শতাংশ। শেয়ার দর ২৭৩ টাকা ৭০ পয়সা থেকে কমে হয়েছে ২৫৪ টাকা ৮০ পয়সা। লেনদেন হয়েছে ২ কোটি ৯ লাখ টাকার, হাতবদল হয়েছে ৮০ হাজার ৫৩৮টি শেয়ার।
বিমা ছাড়া কোনো খাতেই ভালো দিন যায়নি সোমবার
তৃতীয় অবস্থানে থাকা নর্দান ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর কমেছে ৬.০৩ শতাংশ। এছাড়া বঙ্গজের শেয়ার দর কমেছে ৬ শতাংশ। ৮৫ লাখ টাকার মোট ৬৮ হাজার ৪১৫টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
এছাড়া অবস্থানে থাকা আনালিমা ইয়ার্নের দর কমেছে ৫.৯৭ শতাংশ, বিডি ল্যাম্পের ৫.৯৬ শতাংশ, ফু ওয়াং সিরামিকের দর ৫.৮৮ শতাংশ, জি কিউ বলপেনের দর ৫.৭৭ শতাংশ, মেঘনা পেটের দর কমেছে ৫.৭৩ শতাংশ।
লেনদেনে এগিয়ে থাকা ১০ কোম্পানি
সোমবার লেনদেনে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে ছিল জিএসপি ফাইন্যান্স, যাতে লেনদেন হয়েছে ৪৮ কোটি ৮১ লাখ টাকা। ব্যাংক বহির্ভুত আর্থিক খাতের কোম্পানিটির মোট ১ কোটি ৭৯ লাখ ৮১ হাজার ৯৪৯টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
তরপরই ছিল বেক্সিমকো লিমিটেড, যার লেনদেন হয়েছে ৪৪ কোটি ৫১ লাখ টাকা। হাতবদল হয়েছে ২৮ লাখ ৬৬ হাজার ১৪৩টি শেয়ার। লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে থাকলেও এদিন কোম্পানিটির শেয়ার দর কমেছে ৩.৪৪ শতাংশ।
অস্বাভাবিক উত্থানের পর টানা দরপতনের মুখে থাকা ওয়ান ব্যাংক ছিল তৃতীয় স্থানে। লেনদেন হয়েছে ৪১ কোটি ৬০ লাখ টাকা। কোম্পানিটির শেয়ার দর কমেছে ৪.৮৫ শতাংশ। শেয়ার প্রতি দর কমেছে ৮০ পয়সা। হাতবদল হয়েছে ২ কোটি ৬২ লাখ ৮৫ হাজার ৯৯৭টি শেয়ার।
সাইফ পাওয়ারটেকে লেনদেন হয়েছে ১৭ কোটি ৯২ টাকার। হাতবদল হয়েছে ৪ লাখ ৮৮ হাজার ৭৮৭টি শেয়ার।
সেনাকল্যাণ ইন্স্যুরেন্সে লেনদেন হয়েছে ১৪ কোটি টাকার। হাতবদল হয়েছে মোট ১৭ লাখ ৪৫ হাজার ১৪৮টি শেয়ার।
ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টসে র লেনদেন হয়েছে ১৩ কোটি ৬৯ লাখ টাকার। হাতবদল হয়েছে ৪৭ হাজার ৫৯০ টি শেয়ার।
এছাড়া আইএফআইসি ব্যাংকে ১৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা, সোনালী পেপারে ১২ কোটি ৮৬ লাখ টাকা, ডেল্টা লাইফে ১২ কোটি ৮৬ লাখ টাকা, ফার্স্ট সিকিউরিটিজ ইসলামী ব্যাংকে লেনদেন হয়েছে ৯ কোটি ৬৬ লাখ টাকা।