সদ্য সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে রাজশাহীতে করা মামলা নেয়নি আদালত।
সাইবার ট্রাইব্যুনালে করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার আবেদনটি সোমবার দুপুরে খারিজ করেছেন বিচারক জিয়াউর রহমান।
সাইবার ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ইসমত আরা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘বিচারক বাদীর জবানবন্দি নিয়েছেন, উনি যে ভিডিও ক্লিপ দাখিল করেছেন সেটিও দেখেছেন। দেখার পরে তিনটি পর্যবেক্ষণে আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছেন।
‘প্রথমত, যিনি সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি বা যিনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তিনি আসেননি, দ্বিতীয়ত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হবে বলে আবেদনে বলা হয়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি থানায় যাননি। আইনশৃঙ্খলার যদি অবনতি হয় তবে থানায় এটি মামলা করবেন। তৃতীয়ত, একই ঘটনা নিয়ে সারা দেশে একই মামলা হতে পারে না। অতএব আদালত মনে করেছেন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এই মামলাটি গ্রহণযোগ্য নয়।’
রাজশাহী অ্যাডভোকেট বার সমিতির সাধারণ সম্পাদক পারভেজ তৌফিক জাহিদী বলেন, ‘আমরা সার্টিফাইড কপি তুলব এবং এটি নিয়ে উচ্চ আদালতে যাব।’
বগুড়া আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় এই আবেদন করেন। এতে ভার্চুয়াল টকশোর উপস্থাপক শেখ মহিউদ্দিন হেলালের বিরুদ্ধেও অভিযোগ আনা হয়।
সম্প্রতি একটি ভার্চুয়াল টকশোতে তারেক রহমানের কন্যাকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন ডা. মুরাদ। এরপর তার বক্তব্য নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়। এ ছাড়া তার পদত্যাগের দাবিও ওঠে।
পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন ডা. মুরাদ।
ওই বিতর্কিত মন্তব্যের অভিযোগে মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে রোববার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার আবেদন করা হয়েছে ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, সিলেট ও খুলনায়। বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা এই আবেদনগুলো করেন।