বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এ মাসেই বুস্টার ডোজের প্রস্তুতি

  •    
  • ১৩ ডিসেম্বর, ২০২১ ১২:৩২

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বুস্টারের সিদ্ধান্ত আমরা নিয়েছি, বুস্টার আমরা দেবো। যারা ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি, ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কার (সম্মুখসারির কর্মী) যারা আছে, তাদেরও দেয়ার পরিকল্পনা নিয়েছি। এ বিষয়ে কার্যক্রম চলছে। নির্দেশনা আমরা দিয়েছি। সুরক্ষা অ্যাপে কিছু আপডেট করতে হবে। আমরা আশা করছি এ মাসেই কাজ শুরু করতে পারব।’

দেশে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকার বুস্টার ডোজ দেয়া এ মাস থেকে শুরুর প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সোমবার সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বুস্টারের সিদ্ধান্ত আমরা নিয়েছি, বুস্টার আমরা দেবো। যারা ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি, ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কার (সম্মুখসারির কর্মী) যারা আছে, তাদেরও দেয়ার পরিকল্পনা নিয়েছি। এ বিষয়ে কার্যক্রম চলছে। নির্দেশনা আমরা দিয়েছি। সুরক্ষা অ্যাপে কিছু আপডেট করতে হবে। আমরা আশা করছি এ মাসেই কাজ শুরু করতে পারব।

‘প্রস্তুতি চলছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যে প্রস্তুতি সেটাও হয়ে যাবে। আইসিটির প্রস্তুতিটাও আমরা করে ফেলতে পারব। একটা প্রায়োরিটি সেট করতে হয়। সে অনুযায়ী যারা বয়স্ক বা মৃত্যুঝুঁকি বেশি, তাদেরকে আমরা আগে দেবো। যারা ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কার, আমরা দেবো। আমাদের প্রায়োরিটি হলো যারা এখনও এক ডোজও পায়নি, তাদের কিন্তু আমরা প্রায়োরিটিতে রাখব। পাশাপাশি যারা বয়স্ক, তাদের দেবো। সকলকে দেয়ার পরে উন্মুক্ত করার পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে।’

বুস্টার ডোজ কী

করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকার প্রথম দুই ডোজ নেয়ার পর যে টিকা নেয়া হয়, তাকে বুস্টার ডোজ বলা হয়।

যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস (এনএইচএস) জানিয়েছে, প্রথম ডোজ থেকে পাওয়া সুরক্ষাকে বেগবান করে বুস্টার ডোজ। এ ডোজ করোনাভাইরাসে মারাত্মক অসুস্থ হওয়া থেকে দীর্ঘমেয়াদে সুরক্ষা দেয়।

কারা বুস্টার ডোজ নিতে পারেন

করোনাভাইরাস সংক্রমণের সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠী এবং যারা কমপক্ষে তিন মাস আগে টিকা নিয়েছেন, তারা বুস্টার ডোজ নিতে পারবেন।

ওমিক্রন নিয়ে প্রস্তুতি

করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনের বিষয়ে প্রস্তুতি নেয়ার কথাও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘আমাদের হাসপাতালগুলো যেভাবে ছিল আমরা সেভাবেই রেখেছি। আরও এটাকে জোরদার করা হয়েছে। আমরা প্রায় ৮০টি জেনারেটর এখন স্থাপন করছি, অক্সিজেন জেনারেটর। এর মধ্যে ৩০টি স্থাপনের কাজ প্রায় সমাপ্তির পথে। বাকিগুলো আগামী অল্প দিনের মধ্যে দেশে আসলে আমরা লাগিয়ে দেবো।

‘গতকালও ঢাকায় আমরা প্রায় এক হাজার লিটার পার মিনিট স্থাপন করেছি। অন্যগুলো ম্যাক্সিমাম ৫০০ লিটার পার মিনিট। আমাদের এখন অক্সিজেন উৎপাদন ক্ষমতা ৩০০ টন হয়ে গেছে। অতীতে এটা ডেল্টার সময় সবচেয়ে বেশি লেগেছিলো ৩০০ টন প্লাস। আমরা এখন সে ক্ষমতা নিজেরাই অর্জন করতে পেরেছি। এটা একটা ভালো খবর।’

মন্ত্রিসভা বৈঠকের বিষয় তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের টিকার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলো। আমরা এ পর্যন্ত টিকা ১১ কোটি দিয়েছি। এ মাসে আরও দেড় কোটি থেকে দুই কোটি টিকার দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। টিকা আমাদের হাতে প্রায় ৪ কোটি আছে। আজকেও ইউকে থেকে ৪০ লাখ ডোজ টিকা পাব। টিকার কোনো অসুবিধা নেই।

‘প্রধানমন্ত্রী জিজ্ঞেস করেছিলেন যে, স্কুলের ছাত্রদের টিকার অগ্রগতি। আমি বলেছি, সেখানে আমরা সে রকম অগ্রগতি লাভ করতে পারিনি। আমরা এটা যেহতু ফাইজার দিতে হচ্ছে, দেশের সব কর্নারে তো কোল্ড চেইন নেই আমাদের সেভাবে। কাজেই যে কয় জায়গায় আছে, সেখানেই টিকা দেয়ার ব্যবস্থা আমরা করছি। এটা যাতে আরও বাড়ে, গতি যেন আনতে পারি, সে জন্য আমরা কিছু পদক্ষেপ নিয়েছি। এক হাজার বুধ আমরা বাড়াবার জন্য নির্দেশনা দিয়েছে। আড়াই হাজার বুথ যেটা আছে তার সাথে আরও এক হাজার যোগ হলে আমরা মনে করি টিকা কার্যক্রম আরও বেগবান হবে।’

ওমিক্রনে আক্রান্ত দুই ক্রিকেটার ভালো আছে

জিম্বাবুয়েতে গিয়ে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন আক্রান্ত হয়ে দেশে ফেরা দুই নারী ক্রিকেটার ভালো আছেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এ দুজন ছাড়া দেশে এখনও কারও মধ্যে ওমিক্রন শনাক্ত হয়নি বলেও জানান তিনি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ওমিক্রনের বিষয়ে আপনারা যেটা জানেন, বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম জিম্বাবুয়ে থেকে এসেছিল এবং তারা সোনারগাঁওয়ে কোয়ারেন্টিনে ছিল। আমরা তাদের বেশ কয়েকবার টেস্ট করেছি এবং দুজনের গায়ে ওমিক্রন পাওয়া গিয়েছে। জিনোম সিকোয়েন্সিং করে আমরা এ তথ্য পেয়েছি।

‘তারা এখন ভালো আছে, সুস্থ আছে। অন্য কোনো তৃতীয় ব্যক্তির গায়ে আমরা ওমিক্রন পাইনি। যারা হোটেলে আছে এবং তাদের সংস্পর্শে এসেছে তাদেরও টেস্টের ব্যবস্থা আমরা করেছি। আমরা এখনও ভালো আছি। বর্ডার স্ক্রিনিং, এয়ারপোর্ট স্ক্রিনিংও আমরা এ কারণে জোরদার করেছি। আমাদের যে দুজন, যাদের শরীরে পাওয়া গেছে তারা সুস্থ আছে, ভালো আছে।’

তিনি বলেন, ‘এই ভাইরাসটি (ধরন) এখনও খুব ক্ষতিকারক না। এটি সাংঘাতিক সংক্রামক, কিন্তু মৃত্যুর খবর কোথাও আমরা পাইনি। আমাদের এ জন্য সজাগ থাকতে হবে। গতকালও আমরা দেখেছি ১ দশমিক ৫ সংক্রমণের হার। এটি এখন কিছুটা বাড়তির দিকে।

‘আমাদের মৃত্যুও ৬ হয়েছে গতকাল, এটা শূন্য, ১ বা ২-এ ছিল। স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমাদের চলতে হবে। টিকা যারা নেয়নি তাদের আহ্বান করব টিকা নিয়ে আপনারা সুরক্ষিত হয়ে যান।’

এ বিভাগের আরো খবর