নরসিংদীর সদর উপজেলায় বাড়ি থেকে এক নারী ও সন্তানের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সদরের ঘোড়াদিয়ার সংঙ্গীতা এলাকায় রোববার রাত ৩ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় স্বামী ফখরুল মিয়াকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশের ধারণা, বিয়ে বহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে সন্দেহে তাদের হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে।
নিহতরা হলেন, রেশমী আক্তার ও তার দেড় বছরের ছেলে সালমান সাফায়াত। রেশমীর বাবার বাড়ি পৌর শহরের দত্তপাড়া এলাকায়।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সওগাতুল আলম নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
স্থানীয় লোকজন ও নিহতের স্বজনেরা জানায়, ২ বছর আগে পারিবারিকভাবে রেশমীর সঙ্গে ফখরুলের বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েকমাস পর থেকেই স্বামী ও শ্বশুরবাড়ীর লোকজন রেশমীর উপর নির্যাতন করতো।
এরই মধ্যে তাদের ঘরে একটি ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। কিন্তু নির্যাতন বন্ধ হয়নি। সবশেষ রোববার রাত ৩টার দিকে রেশমী ও তার সন্তানকে গলাকেটে হত্যা করা হয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ এসে ঘর থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহতের বাবা পারভেজ মিয়া বলেন, ‘বিয়ের পর থেকেই তারা আমার মেয়েকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করত। আমাদের কথা ভেবে রেশমী আমাদেরকে কিছুই জানাতো না।’
তিনি আরও বলেন, ‘ফখরুল মাদকাশক্ত ছিল। কিন্তু আমরা জানতাম না। এসব তথ্য আমাদের কাছে গোপন রেখেই বিয়ে দেয়া হয়। আমার মেয়ে ও নাতি হত্যার বিচার চাই।’
সদর থানার ওসি সওগাতুল আলম বলেন, ‘রেশমীর বিয়েবহির্ভূত সম্পর্ক আছে মনে করে তার স্বামী সন্দেহ করত। এর জের ধরে ফখরুল মিয়া তার স্ত্রী ও সন্তানকে গলাকেটে হত্যা করেন। ফখরুলকে আটক করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।’