এসএমই মেলায় ১০ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি হয়েছে; অর্ডার পাওয়া গেছে ১৭ কোটি টাকার।
রোববার রাতে আট দিনব্যাপী মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
অনুষ্ঠানে মেলা আয়োজনকারী সংস্থা এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মফিজুর রহমান বলেন, ‘এবারের মেলায় পণ্যের বৈচিত্র এসেছে। আগের যে কোন সময়ের চেয়ে সফল হয়েছে মেলা। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসায় এসএমই উদ্যোক্তাদের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছিল এবারের মেলা।’
আট দিনব্যাপী এসএমই মেলার সমাপনী ছিল রোববার। ছবি: সংগৃহীত
ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মাসুদুর রহমান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রণোদনা প্যাকেজের কারণে করোনার ক্ষতি কাটিয়ে সিএমএসএমই উদ্যোক্তারা ঘুরে দাঁড়িয়েছে। আগামীতে এই মেলাকে আরো বড় পরিসরে আন্তর্জাতিক মেলায় রূপান্তর করা হবে।’
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনে কেন্দ্রে নবম জাতীয় এসএমই পণ্য মেলা শুরু হয় ৫ ডিসেম্বর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি মেলার উদ্বোধন করেন। এবারের মেলায় ৩২৫টি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পপ্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে; যার মধ্যে ৬০ শতাংশই নারী উদ্যোক্তা।
প্রতিবারের মতো এবারও শিল্প মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় এসএমই ফাউন্ডেশন এই মেলার আয়োজন করে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের উৎপাদিত পণ্যের প্রচার, প্রসার, বিক্রয় এবং স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজার সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ২০১২ সাল থেকে এসএমই পণ্য মেলা আয়োজন করছে এসএমই ফাউন্ডেশন।
সমাপনী অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রাথমিক হিসাবে ৯ম জাতীয় এসএমই পণ্য মেলায় ১০ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি হয়েছে। সেই সঙ্গে ১৭ কোটি টাকার অর্ডারও পেয়েছেন উদ্যোক্তারা।
মেলায় সবচেয়ে বেশি ছিল ফ্যাশনশিল্পের প্রতিষ্ঠান। ছবি: সংগৃহীত
এবারের মেলায় জাতীয় অংশ নেওয়া ৩২৫টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ছিল ফ্যাশনশিল্পের ১১৬টি প্রতিষ্ঠান। এ ছাড়া চামড়াজাত পণ্য খাতের ৩৭টি, কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ পণ্য খাতের ৩৬টি, হস্তশিল্পের ৩৩টি, পাটজাত পণ্যের ২৯টি, হালকা প্রকৌশলশিল্পের ১৭টি, তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ৪টি, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস খাতের ৬টি, হারবাল পণ্যের ৪টি, জুয়েলারি পণ্যের ৪টি এবং প্লাস্টিক পণ্য খাতের ৩টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছিল।
মেলায় একাধিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এ সব সেমিনারে এসএমই খাতকে এগিয়ে নেওয়ার বিভিন্ন পরামর্শ উঠে আসে। উদ্যোক্তারা তাদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়াও তুলে ধরেন।
অষ্টম এসএমই মেলায় ৪ কোটি ৯৫ লাখ টাকার বিভিন্ন পণ্য বিক্রি হয়েছিল। আর ৬ কোটি ৩৮ লাখ টাকার অর্ডার পেয়েছিলেন উদ্যোক্তারা।