বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ডিজিটাল বাংলাদেশ পুরস্কার পেল গ্রামীণফোন

  •    
  • ১২ ডিসেম্বর, ২০২১ ২১:৩৪

গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান বলেন, ‘ডিজিটালাইজেশনের এ যুগে সামনে এগিয়ে আসা এবং অবশ্যম্ভাবী পরিবর্তনের অংশ হওয়া গুরুত্বপূর্ণ। এ ধরনের স্বীকৃতি বাংলাদেশের ক্ষমতায়নে আমাদের তরুণদের ভবিষ্যৎ উপযোগী দক্ষতায় প্রস্তুত করে তুলতে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে জ্ঞানভিত্তিক উচ্চ আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার যাত্রায় এগিয়ে যেতে আমাদের গভীরভাবে উৎসাহিত এবং অনুপ্রাণিত করবে।’

ডিজিটাল বাংলাদেশ পুরস্কার ২০২১ পেয়েছে গ্রামীণফোন।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে বিশেষ অবদানের জন্য প্রতিষ্ঠান শ্রেণিতে এই পুরস্কার পেয়েছে দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোন।

রোববার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস ২০২১’ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে টেক সার্ভিস লিডার ও ডিজিটাল বাংলাদেশের কানেক্টিভিটি পার্টনার গ্রামীণফোনকে এ পুরস্কার প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়াল মাধ্যমে উপস্থিত থেকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের মাধ্যমে গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসির আজমানের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।

অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোন থেকে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির হেড অফ কমিউনিকেশনস খায়রুল বাশার, হেড অফ ইয়ুথ, স্কিলস অ্যান্ড এমপ্লয়মেন্ট ফারহানা ইসলাম এবং ইনোভেশন, ডিজিটাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজির লিড স্পেশালিস্ট সোহেল রানা।

গ্রামীণফোনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘চলতি বছর আমরা আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করছি। দেশে চলমান ডিজিটাল বিপ্লবের মাধ্যমে ৫০ বছরের এ পথচলায় আমরা উল্লেখযোগ্য মাইলফলক অর্জন করতে পেরেছি। এ অর্জনগুলোকে ধরে রাখতে এবং একটি স্বনির্ভর ও জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি তৈরির মাধ্যমে আমাদের লক্ষ্য অর্জনের সম্ভাবনা উন্মোচনের জন্য ডিজিটালাইজেশনকে কাজে লাগাতে হবে এবং ডেমোগ্র্যাফিক ডিভিডেন্ডের সুবিধা নিতে হবে।’

‘এ জন্য সামাজিক প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে, আমরা দেশের তরুণদের ভবিষ্যতে দেশকে নেতৃত্ব দেয়ার দক্ষতা বৃদ্ধিকে অগ্রাধিকার দিয়ে কৌশল গ্রহণ করেছি। একই সঙ্গে ইউএনডিপির সঙ্গে ’ফিউচার নেশন’ এবং জিপি অ্যাকসেলেরেটরের পৃষ্ঠপোষকতায় এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ ও স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমের মতো প্ল্যাটফর্মগুলোর মাধ্যমে অন্যান্য দক্ষতা বৃদ্ধিতে কাজ করছে গ্রামীণফোন, যা একটি ইকোসিস্টেম তৈরির মাধ্যমে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সম্ভাবনাকে উন্মোচন করবে।’

অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘প্রতিশ্রুত ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে সরকার আইসিটি বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে এবং প্রযুক্তির প্রচার ও প্রসারকে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে আসছে। এ চেতনাকে সমুন্নত রাখতে সঠিক উদ্যোগকে পুরস্কৃত করা এবং প্রতিষ্ঠানগুলোকে পৃষ্ঠপোষকতা করা একটি প্রশংসনীয় পদক্ষেপ। বিজয়ী উদ্যোগগুলো আমাদের দেশকে ব্যবসাসহ অন্যান্য প্রধান খাতগুলোয় ভবিষ্যতের প্রযুক্তিগত বিপ্লবের জন্য প্রস্তুত হতে সহায়তা করবে।’

একটি উন্নত আগামী বাংলাদেশ নিশ্চিত করতে তরুণদের আপস্কিলিং করার ক্ষেত্রে গ্রামীণফোনের প্রচেষ্টাকে স্বীকৃতিদানের জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান।

তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের যাত্রায় আমাদের অবদানকে স্বীকৃতি জানানোর জন্য আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। এ পুরস্কার পেয়ে আমি সম্মানিত বোধ করছি।’

‘সমাজের প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতি এবং জাতির ক্ষমতায়নে কথা পুনর্ব্যক্ত করে আমি বলতে চাই, গ্রামীণফোন তরুণদের প্রাধান্য দিয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করাতে বিশ্বাস করে। ফিউচার নেশন ও জিপি অ্যাকসেলেরেটরের মতো পদক্ষেপগুলোর মাধ্যমে তরুণদের আপস্কিল ও রিস্কিল করে ডেমোগ্রাফিক ডিভেডেন্ডের সম্ভাবনাকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে পরিণত করে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সুযোগ উন্মোচনে বিশ্বাস করে গ্রামীণফোন।’

তিনি বলেন, ‘ডিজিটালাইজেশনের এ যুগে সামনে এগিয়ে আসা এবং অবশ্যম্ভাবী পরিবর্তনের অংশ হওয়া গুরুত্বপূর্ণ। এবং এ ধরনের স্বীকৃতি বাংলাদেশের ক্ষমতায়নে একসঙ্গে আমাদের তরুণদের ভবিষ্যৎ উপযোগী দক্ষতায় প্রস্তুত করে তুলতে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে জ্ঞানভিত্তিক উচ্চ আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার যাত্রায় এগিয়ে যেতে আমাদের গভীরভাবে উৎসাহিত এবং অনুপ্রাণিত করবে।’

এ বিভাগের আরো খবর