ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে একটি অক্সিজেন প্ল্যান্ট স্থাপন করা হয়েছে; যা এক মিনিটে এক হাজার লিটার অক্সিজেন সরবরাহ করতে সক্ষম।
রোববার দুপুরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এই অক্সিজেন প্ল্যান্ট উদ্বোধন করেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘করোনার সময় দুটি অক্সিজেন প্ল্যান্ট উপহার দিয়েছে ভারত সরকার। তার মধ্যে একটি ঢামেক হাসপাতালে স্থাপন করা হয়েছে, যা প্রতি মিনিটে এক হাজার লিটার অক্সিজেন সরবরাহ করতে পারবে।’
করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন নিয়ে তিনি বলেন, ‘দেশে করোনার তৃতীয় ধাপ যেন না আসে, সেদিকে সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে। দেশে দুজন খেলোয়াড়ের শরীরে ওমিক্রন ধরন শনাক্ত হয়েছে। তারা আইসোলেশনে আছেন। তাদের মাধ্যমে ভাইরাসের এই ধরন অন্য কারও কাছে ছড়ায়নি। কোথাও কোনো মৃত্যু নেই।’
টিকা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন। এখনও যারা টিকা নেননি, সবাই টিকা নিয়ে নেবেন। আমাদের টিকার কোনো অভাব নেই। এখনও আমাদের হাতে চার কোটি ডোজ টিকা মজুদ আছে। রোববার যে অক্সিজেন জেনারেটর উদ্বোধন করা হলো, এটা যেন দীর্ঘদিন চলে তার খেয়াল রাখতে হবে।’
ঢাকা মেডিক্যালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক বলেন, ‘যদি দেশে করোনার তৃতীয় ধাপ আসে, এই অক্সিজেন প্ল্যান্ট করোনা রোগীর চিকিৎসায় সহায়ক হবে।’
ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী জানান, বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী শুধু বাংলাদেশের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ না, ভারতের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। দুই দেশের বন্ধুত্ব পুরোনো ও অটুট। তারই অংশ হিসেবে করোনা মহামারির নতুন প্রকোপ ঠেকানোর অংশ হিসেবে ভারত অক্সিজেন প্ল্যান্ট বসাতে সহায়তা করছে। এক হাজার লিটারের অক্সিজেন জেনারেটর উপহার দিয়েছে মোদি সরকার।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ মো. টিটো মিঞা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ বি এম খুরশিদ আলম, শিশু বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল হানিফ (টাবলু), স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সিনিয়র সেক্রেটারি লোকমান হোসেন মিয়া, ঢামেক হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক আশরাফুল আলমসহ চিকিৎসকরা। এ ছাড়া বিভিন্ন বিভাগের অধ্যাপক, নার্সসহ অন্য কর্মচারীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
অক্সিজেন প্ল্যান্ট উদ্বোধন শেষে হাসপাতালে বহির্বিভাগের শিশুদের জন্য শিশু কর্নার এবং পরে মেডিক্যাল কলেজে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।