মানবাধিকার লঙ্ঘন করেনি র্যাব, আইন মেনে দেশের শান্তি রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে এই বাহিনী। র্যাব মহাপরিচালক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন বরগুনায় এক সভায় এ কথা বলেছেন।
সম্প্রতি মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন এবং বাহিনীর সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট (রাজস্ব বিভাগ) ও পররাষ্ট্র দপ্তর।
এ প্রসঙ্গেই র্যাব মহাপরিচালক বলেন, ‘দেশের সংবিধান ও আইন মেনে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে কাজ করে যাচ্ছে র্যাব। র্যাব কোনো মানবাধিকার লঙ্ঘন করেনি। এখানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের কোনো সুযোগই নেই।’
বরগুনার পাথরঘাটায় জেলেদের সঙ্গে রোববার দুপুরে এই সভায় যোগ দেন তিনি।
জেলেদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘সুন্দরবন যেভাবে জলদস্যু মুক্ত করা হয়েছে, একইভাবে বঙ্গোপসাগরও জলদস্যু মুক্ত করা হবে... যারা এখনও দস্যুতার সঙ্গে জড়িত, তারা আত্মসমর্পণ করলে র্যাব তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে দেবে। দস্যুতা বন্ধ না হলে র্যাব ছাড় দেবে না।’
১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে এমন নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
বিষয়টি নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখায় ঢাকা। শনিবার ঢাকায় দেশটির রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলারকে তলব করে ব্যাখ্যা চায় বাংলাদেশ। সেই সঙ্গে ঢাকার আপত্তির কথাও তাকে জানানো হয়। মিলার বিষয়টি ওয়াশিংটনে বাইডেন প্রশাসনের কাছে জানানোর কথা জানায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।