কর প্রদান প্রক্রিয়া যত সহজ হবে, দেশের জনগণ ততই কর প্রদানে উৎসাহিত হবেন। এ বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কাজ করছে বলে জানিয়েছেন সংস্থার চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।
রোববার সেগুনবাগিচায় রাজস্ব ভবন মিলনায়তনে চলতি অর্থবছরের ট্যাক্স গাইডের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। প্রতি বছরের মতো এবারও ট্যাক্স গাইডটি প্রকাশ করেছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাষ্ট্রিজ (ডিসিসিআই)।
এ সময় ডিসিসিআই সভাপতি রিজওয়ান রাহমান, ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি এন কে এ মবিন, সহ-সভাপতি মনোয়ার হোসেন এবং রাজস্ব বোর্ডর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এনবিআর চেয়ারম্যান জানান, কর হার কমানো, সেবার মান উন্নয়ন এবং কর বিভাগকে অটোমেশনের জন্য এনবিআর নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এর ফলে করদাতারা উপকৃত হবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
রাজস্ব বোর্ডের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে চেয়ারম্যান আরও বলেন, আগামী ২০ বছরের জন্য দক্ষ জনবল নিয়োগের লক্ষ্যে একটি কাঠামো প্রণয়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এটি বাস্তবায়ন হলে রাজস্ব বিভাগের আরও শক্তিশালী হবে।
এনবিআর চেয়ারম্যান জানান, জাতীয় বাজেট প্রণয়নের ক্ষেত্রে ডিসিসিআই প্রতি বছরই তাদের সুচিন্তিত প্রস্তাব পেশ করে থাকে। এনবিআর সেগুলো গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে। এসব মতামত দেশের নীতি-প্রণয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে বলে মত দেন তিনি।
ডিসিসিআই সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, জনগণের পাশাপাশি ব্যবসায়ী সমাজকে কর দিতে উৎসাহিত করার জন্য বিদ্যমান কর নীতিমালা সহজীকরণ করা প্রয়োজন। দেশে একটি করবান্ধব পরিবেশ তৈরিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাথে ঢাকা চেম্বার একযোগে কাজ করছে, যা আগামীতে অব্যাহত থাকবে।
তিনি উল্লেখ করেন, দেশের জিডিপির প্রায় ৮০ শতাংশ আসে বেসরকারি খাত থেকে এবং দেশের উন্নয়নে এ খাতের ভূমিকা আরও দৃঢ় করার জন্য ব্যবসা সহায়ক নীতিমালার কোনো বিকল্প নেই।
ঢাকা চেম্বারের সভাপতি বলেন, শতবর্ষ পুরোনো ‘আয়কর আইন’ সংশোধনে এনবিআর নিরলসভাবে কাজ করছে। এটিকে যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে সকলের মতামতের ভিত্তিতে এটি চূড়ান্ত করার প্রস্তাব করেন তিনি।
দেশীয় বিনিয়োগের সম্প্রসারণের পাশাপাশি বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে কর কাঠামোর আমূল সংস্কারের বিকল্প নেই। এ ব্যাপারে এনবিআরকে আরও বেশি হারে মানোনিবেশ করা প্রয়োজন বলে মত প্রকাশ করেন রিজওয়ান রাহমান।