সাতক্ষীরায় যৌতুকের দাবিতে শিপ্রা ঘোষ হত্যায় স্বামী কার্তিক ঘোষকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। এ ছাড়া মামলার বাকি পাঁচ আসামিকে খালাস দেয়া হয়েছে।
সাতক্ষীরা জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আজম রোববার দুপুরে এ রায় দেন। এ সময় আসামি কার্তিক আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আদালত থেকে জানা যায়, ২০১০ সালের ১৩ মে সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থানার রাজেন্দ্রপুর গ্রামে যৌতুকের দাবিতে শিপ্রা ঘোষকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ ওঠে স্বামী কার্তিকসহ তার পরিবারের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনায় শিপ্রার মা খুলনার নমিতা ঘোষ পরদিন পাটকেলঘাটা থানায় মামলা করেন।
পাটকেলঘাটা থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) নাসিরউদ্দীন তদন্ত শেষে কার্তিক ছাড়াও তার মা যুথিকা ঘোষ, বোন চায়না ঘোষ ও সুন্দরী ঘোষ এবং ভগ্নিপতি জয়দেব ঘোষ ও চাচাতো ভাই সুভাষ ঘোষের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ১৩ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দেন। ২০১১ সালের ২৫ জানুয়ারি বিচার শুরু হওয়ার পর আদালতে সাক্ষ্য দেন ১৮ জন।
হত্যার ১১ বছর পর রোববার বিচারক কার্তিক ঘোষকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আদেশ দেন। অন্য আসামিদের সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় তাদের খালাস দেয়া হয়।
রায়ের পর বাদী নমিতা ঘোষ বলেন, ‘আমার মেয়েকে হত্যায় কার্তিকসহ ছয়জন জড়িত, অথচ ফাঁসির আদেশ হলো একজনের। সেই কারণে রায়ে আমি খুশি না।’
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি জহুরুল হায়দর বাবু জানান, রাষ্ট্রপক্ষ এ মামলায় আসামির অপরাধ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। আদালতের রায়ে তিনি সন্তুষ্ট।