নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের কলেজছাত্র মফিজুল ইসলাম হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। দুই নারীসহ ৯ আসামিকে দেয়া হয়েছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। এ ছাড়া মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তকে ৫০ হাজার এবং যাবজ্জীবনপ্রাপ্তদের ৩০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (দ্বিতীয়) আদালতের বিচারক সাবিনা ইয়াসমিনের আদালত রোববার দুপুরে এ রায় দেয়। ফাঁসিরদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিসহ ৩ জন পলাতক থাকলেও অন্য সাত আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন সোনারগাঁয়ের জামপুর ইউনিয়নের মুছারচর এলাকার জাহিদুল ইসলাম জাহিদ। যাবজ্জীবনের আসামিরা হলেন আলমগীর, বাসিত, আসাদ, শাহ জামাল, জুয়েল, মমতাজ বেগম, কল্পনা বেগম, কামাল ও নজরুল ইসলাম।
নারায়ণগঞ্জ আদালত পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান নিউজবাংলাকে জানান, রায়ের সময় আদালতে দুই নারীসহ ৭ আসামি উপস্থিত ছিলেন। তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হচ্ছে।
আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর জাসমীন আহমেদ নিউজবাংলাকে জানান, ২০১১ সালের ৯ নভেম্বর সোনারগাঁয়ের মুছারচর এলাকায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে কলেজশিক্ষার্থী মফিজুল ইসলামকে টেঁটা দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করা হয়। তাদের বাড়িতেও হামলা চালানো হয়।
এ ঘটনায় পরদিন মফিজুলের বাবা শহীদুল্লাহ সোনারগাঁ থানায় ১০ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। ২০১২ সালে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। ১২ জনের সাক্ষ্য ও যুক্তিতর্ক শেষে আদালত এ রায় দেয়।
আদালতের রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে মফিজুলের বাবা শহিদুল্লাহ বলেন, ‘আমার ছেলে মদনপুর ডিগ্রী কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিল। আমার ছেলেকে তারা নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। আদালতের রায়ে আমি সন্তুষ্ট। এখন আদালতের কাছে আমার দাবি, দ্রুত এই রায় কার্যকর করা হোক।
তবে রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে আসামিপক্ষের আইনজীবী এম এ রশীদ। তিনি বলেন, ‘আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করব। করলে ফাঁসির আসামি ছাড়া অন্যরা খালাস পাবে বলে আমি মনে করি।’