বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

যাত্রীবাহী মেট্রোরেল আগামী ডিসেম্বরে

  •    
  • ১২ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৪:৪৫

ডিএমটিসিএলের এমডি এম এ এন সিদ্দিক বলেন, ট্রায়াল শেষে তিন মাস সার্বিক বিষয় পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে। সবশেষে আগামী বিজয় দিবসের আগেই ডিসেম্বরে মেট্রোরেল যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে পারবে। সে বিষয়ে সার্বিক প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।

আগামী বছরের ডিসেম্বরে যাত্রীবাহী মেট্রোরেল চলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এমএএন সিদ্দিক।

প্রথমবারের মতো উত্তরার দিয়াবাড়ী থেকে আগারগাঁও স্টেশনে মেট্রোরেল পৌঁছানোর দিন রোববার সাংবাদিকদের কাছে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

পরীক্ষামূলক যাত্রা বা টেস্ট রান শুরুর সাড়ে তিন মাসের মাথায় আগারগাঁও স্টেশনে আসে মেট্রোরেল।

এত দিন দিয়াবাড়ী স্টেশন থেকে প্রথম চার-পাঁচটি স্টেশন পর্যন্ত সীমাবদ্ধ ছিল পরীক্ষামূলক এ চলাচল। এবার তা বেড়ে নবম স্টেশন আগারগাঁও পর্যন্ত হয়েছে।

এমএএন সিদ্দিক বলেন, ‘প্রতিটি ট্রেনকে বেশ কয়েকটি ধাপ অতিক্রম করেই আসতে হবে। আজ যে ট্রেন সেট এসেছে, সেটি ২ নম্বর ট্রেন সেট। জাপানের তৈরি এসব ট্রেন দেশটির কোবে সমুদ্রবন্দর থেকে জাহাজে প্রথমে মোংলা বন্দরে আসে। সেখান থেকে নৌপথে ঢাকায় ডিপোতে আসে।

‘তারপর পারফরম্যান্স টেস্ট, টেস্ট রান, ইন্টিগ্রেটেড টেস্ট, ট্রায়াল রানসহ অনেকগুলো ধাপ পার হতে হবে। এরই মধ্যে সাতটি ট্রেন ঢাকায় এসেছে। আগামীকাল (সোমবার) আরেকটি ট্রেন মোংলা বন্দর এসে পৌঁছবে। জানুয়ারিতে আসবে আরও দুই সেট ট্রেন।’

তিনি বলেন, ‘এ ১০ সেট ট্রেন নিয়ে প্রথম ধাপে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেল যাত্রী বহন করবে। এখন যে টেস্ট রান চলছে, এটা চলবে মোট ছয় মাস। এরপর শুরু হবে ট্রায়াল রান। আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে সে ট্রায়াল রান শেষ করা যাবে।

‘ওই সময় কোনো যাত্রী পরিবহন করা না হলেও স্বাভাবিকভাবে চলাচল করবে মেট্রোরেল। ট্রায়াল শেষে তিন মাস সার্বিক বিষয় পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে। সবশেষে আগামী বিজয় দিবসের আগেই ডিসেম্বরে মেট্রোরেল যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে পারবে। সে বিষয়ে সার্বিক প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।’

২০২৩ সালের মধ্যে মতিঝিল পর্যন্ত চলাচল

এম এ এন সিদ্দিক বলেন, আগারগাঁওয়ের পরের অংশে ভায়াডাক্টের কাজ অনেক এগিয়েছে। ফেব্রুয়ারির মধ্যে মতিঝিল পর্যন্ত ভায়াডাক্ট নির্মাণ শেষ হবে।

২০২৩ সালের মধ্যেই মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল চলাচল করবে বলেও আশা করেন ডিএমটিসিএল এমডি।

মেট্রোরেলের গতি কেমন, যাত্রাবিরতি কতক্ষণ

রোববার সকাল সোয়া ১০টার দিকে উত্তরার দিয়াবাড়ী স্টেশন থেকে যাত্রা শুরু করে ঠিক বেলা ১১টায় আগারগাঁও স্টেশনে এসে পৌঁছয় মেট্রোরেল। ৪০ মিনিট অপেক্ষা করে ট্রেনটি আবার দিয়াবাড়ীতে ফিরে যায়।

কর্তৃপক্ষ জানায়, মেট্রোরেলের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটারের বেশি। রোববার পরীক্ষামূলক চলাচলে প্রথম চারটি স্টেশনে সেই গতিবেগ বজায় ছিল, তবে এরপর স্টেশনগুলোয় ট্রেনটি সর্বোচ্চ ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার গতিতে চলেছে।

দিয়াবাড়ী থেকে আগারগাঁও স্টেশনের দূরত্ব প্রায় সাড়ে ১১ কিলোমিটার। এর মাঝে নয়টি স্টেশনের সাতটিতে ট্রেন কিছুক্ষণ থেমে এসেছে।

দেশের প্রথম মেট্রোরেল প্রকল্প মেট্রো রেললাইন-৬ বা এমআরটি-৬-এর আওতায় উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ২০ দশমিক ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ মেট্রোরেলের রুট নির্মাণকাজ চলছে। শুরুতে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত এই ট্রেন চলাচলের কথা রয়েছে।

উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল-৬ রুটে ২৪ সেট ট্রেন চলাচল করবে। প্রতি ৫ থেকে ১০ মিনিট পরপর ছেড়ে দেবে এক একটি ট্রেন। ট্রেনের প্রথম সেট গত এপ্রিলে ঢাকায় ডিপোতে পৌঁছায়। এসব ট্রেনের প্রতিটিতে ছয়টি গাড়ি বা কোচ রয়েছে।

স্টেইনলেস স্টিলের কোচগুলোর ভেতরে দুই পাশে লম্বালম্বি বসার আসন রয়েছে। একটি ট্রেনের দুই প্রান্তের দুটি কোচকে বলা হচ্ছে ট্রেইলার কার, যা ট্রেনকে চালিয়ে নিয়ে যাবে। এতেই চালক থাকবেন।

এক সেট ট্রেন একবারে সর্বোচ্চ ২ হাজার ৩০৮ জন যাত্রী বহন করতে পারবে। মতিঝিল পর্যন্ত রুটে প্রতি ঘণ্টায় ৬০ হাজার এবং দিনে পাঁচ লাখ যাত্রী বহন করবে মেট্রোরেল।

মোট ১৬টি স্টেশনে থামবে ট্রেনগুলো। ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১১০ কিলোমিটার গতিতে ছুটতে পারবে এ ট্রেন।

ট্রেনগুলো তৈরি করছে জাপানের কাওয়াসাকি হেভি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। পরে এগুলো দেশটির কোবে সমুদ্রবন্দর থেকে জাহাজে করে দেশে আনা হয়।

ঢাকার যানজট নিরসন এবং দ্রুত ও আরামদায়ক যাতায়াত নিশ্চিত করতে উত্তরা-মতিঝিল রুট ছাড়াও পাঁচ রুটে মেট্রোরেল লাইন নির্মাণ করা হবে। ঢাকাকে ঘিরে সব মিলিয়ে ১২৮ কিলোমিটারের নেটওয়ার্ক হবে মেট্রোরেলের।

এ বিভাগের আরো খবর