ফেনী সদর উপজেলার ছনুয়া ইউনিয়নে স্বতন্ত্র দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর বাড়িতে ভাঙচুর ও গুলি ছোড়ার অভিযোগে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীসহ ২০ জন নাম উল্লেখ করে ৩০ জনের নামে দুটি মামলা হয়েছে। ফেনী মডেল থানায় শনিবার দুপুরে মামলা দুটি হয়।
এসব নিশ্চিত করেছেন ফেনীর বোগদাদিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. ওসমান। তিনি জানান, ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইব্রাহীম ও যুবলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম আবু পাটোয়ারীর বাড়িতে শুক্রবার রাতে হামলার অভিযোগে দুটি মামলা হয়েছে।
সেখানে বলা হয়েছে, বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি করিমুল্লাহর নেতৃত্বে এসব হামলা হয়েছে।
সাইফুল ইসলাম আবু পাটোয়ারী বলেন, ‘বিনা ভোটে নির্বাচিত হতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে অপহরণ করাসহ তাদের বাড়িতে হামলা চালাচ্ছেন করিমুল্লাহ। তাদের বোমার আওয়াজে আমার ছেলে বধির হয়ে গিয়েছিল।’
মো.ইব্রাহীম ভূঁইয়া বলেন, ‘আমাকে মেরে ফেলার জন্য আমার বাড়িতে হামলা হয়েছে। আমার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানেও তাণ্ডব চালিয়েছে তারা।’
কেবল হামলা নয়, প্রতিপক্ষকে অপহরণের অভিযোগও আছে করিমুল্লাহর বিরুদ্ধে। কামরুজ্জামান শিমুল নামে স্থানীয় একজন বলেন, ‘নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতে চেয়েছিলাম। মনোনয়ন ফরমও কিনেছিলাম। কিন্তু গত ৭ ডিসেম্বর আমাকে তুলে নিয়ে যায় করিমুল্লাহর লোকজন। পরে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার সময় শেষ হলে, আমাকে ছেড়ে দেয়।’
সিসিটিভি ফুটেজে অভিযুক্ত করিমুল্লাহকে আগ্নেয়াস্ত্রসহ হামলার নেতৃত্ব দিতে দেখা গেলেও, বিষয়টি অস্বীকার করেছেন তিনি। তার দাবি ফেসবুক লাইভে তার বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষ প্রার্থীরা অপপ্রচার চালানোয়, ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা হামলা চালিয়েছে।
ওই ফুটেজে দেখা যায়, শুক্রবার রাতে মধ্যম ছনুয়া গ্রামে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম আবু পাটোয়ারীর বাড়িতে হামলা চালাচ্ছে কিছু লোক। আরেকটি ফুটেজে দেখা গেছে, ওই ঘটনার কিছু আগে ওই দলটিই তাণ্ডব চালায় আরেক চেয়ারম্যান প্রার্থী ইব্রাহীমের বাড়িতেও। দুটি ফুটেজেই হামলাকারীদের নেতৃত্বে দেখা গেছে করিমুল্লাহকে।
আগামী ৫ জানুয়ারি পঞ্চম ধাপে ফেনী সদর উপজেলার ১২টি ইউপিতে ভোট।