গোপালগঞ্জে মাদ্রসাছাত্রকে বেত দিয়ে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগে এক শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার রাতে সদর উপজেলার গোবরা ইউনিয়নের গোবরা ইসলামীয়া মাদ্রাসার এ ঘটনায় আহত জোবায়ের শেখকে চিকিৎসার জন্য গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
১৪ বছর বয়সী জোবায়ের গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ঘোষেরচর গ্রামের মো. শহর আলী শেখের ছেলে। অভিযুক্ত ২২ বছর বয়সী মঈনুল ইসলাম বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলার গ্রীসনগর গ্রামের মাহমুদ শেখের ছেলে।
শনিবার বিকেলে গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘আহত জোবায়ের শেখ গোবরা ইদারায়েত ইসলামীয়া মাদ্রাসায় হেফজ পড়ে। শুক্রবার দুপুরে সে মাদ্রাসা থেকে না বলে বাড়িতে যায়। পরে সন্ধ্যার আগে সে আবার মাদ্রাসা ফিরে আসে।’
তিনি বলেন, ‘সন্ধ্যায় ওই মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ মঈনুল ইসলাম না বলে বাড়িতে যাওয়ার জন্য জোবায়েরকে বেত দিয়ে বেধড়ক মারপিট করেন। পরে শিক্ষার্থী সেখান থেকে পালিয়ে বাড়িতে এসে পরিবারকে বিষয়টি জানায়। ওই ছাত্রের পিঠ, হাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থীর বাবা মো. শহর আলী শেখ গোপালগঞ্জ সদর থানায় একটি অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতেই মাদ্রাসায় অভিযান চালিয়ে শিক্ষক মঈনুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
আহত জোবায়ের শেখ বলেন, ‘শুক্রবার কাউকে না বলে আমি বাড়িতে যাই। পরে মাদ্রাসায় ফিরে আসি। সন্ধ্যায় ওই শিক্ষক আমাকে বেত দিয়ে মারধর করেন। পরে পালিয়ে এসে আমি আমার বাবাকে বিষয়টি জানাই।’
শিক্ষার্থীর জোবায়েরের বাবা শহর আলী শেখ বলেন, ‘আমার ছেলে বাড়িতে এসে আমাদের সব কিছু জানায়। পরে আমি মাদ্রাসায় বিষয়টি জানতে চাই। সেখানে কোনো সদুত্তর না পাওয়ায় আমি ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে গোপালগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ করি। আমার ছেলেকে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই, যাতে আর কোনো শিক্ষার্থীর সঙ্গে এমন ঘটনা না ঘটে।’
এ বিষয়ে গোবরা ইদারায়েত ইসলামীয়া মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষ কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি।