বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হয়রানি বন্ধের দাবি রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির

  •    
  • ১১ ডিসেম্বর, ২০২১ ২১:১০

বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মহাসচিব ইমরান হাসান বলেন, ‘বর্তমানে রেস্তোরাঁ খাত পরিচালনা করার জন্য কমবেশি ১১টি সংস্থার অধীনে কাজ করতে হয়। এই ১১টি সংস্থায় প্রতিবছর নতুন করে লাইসেন্স বা নবায়নে ছোট উদ্যোক্তারা অনেক হয়রানির শিকার হওয়ার পাশাপাশি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন।’

রেস্তোরাঁ খাতকে সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার জন্য এ খাতের ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের হয়রানি বন্ধের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি।

শনিবার রাজধানীর একটি কমিউনিটি সেন্টারে সমিতির ৩৩তম কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের বর্ধিত সভায় এ দাবি করেন নেতারা।

সমিতির মহাসচিব ইমরান হাসান বলেন, ‘বর্তমানে রেস্তোরাঁ খাত পরিচালনা করার জন্য কমবেশি ১১টি সংস্থার অধীনে কাজ করতে হয়। এই ১১টি সংস্থায় প্রতিবছর নতুন করে লাইসেন্স বা নবায়নে ছোট উদ্যোক্তারা অনেক হয়রানির শিকার হওয়ার পাশাপাশি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন।’

তিনি বলেন, ‘এতগুলো প্রতিষ্ঠানের কাছে না গিয়ে ওয়ান-স্টপ সার্ভিসের মাধ্যমে উন্নত বিশ্বের মতো একটি মন্ত্রণালয় বা সংস্থা কিংবা অধিদপ্তর থেকে সব অনুমতি দেয়া হোক। অবিলম্বে একটি টাস্কফোর্স গঠন করে মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে নিয়ে আসতে হবে। নবায়নের ক্ষেত্রে সব ছাড়পত্র প্রতিবছরের পরিবর্তে তিন বছর মেয়াদি করতে হবে।’

ইমরান হাসান আরও বলেন, ‘রেস্তোরাঁ খাতে প্রায় দুই কোটি মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত। সরকারি হিসাবে দেশে চার লাখের বেশি রেস্তোরাঁয় ৩০ লাখ শ্রমিক-কর্মচারী কাজ করছেন। কৃষি, পর্যটন, অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানের সব ক্ষেত্রে বিশাল ভূমিকা রেখে যাচ্ছে এই খাত। তবে সরকারিভাবে রেস্তোরাঁ খাতকে শিল্পের মর্যাদা না দেয়ায় চরম অবহেলিত অবস্থায় পড়ে আছে।’

সভায় রেস্তোরাঁ মালিকরা অভিযোগ করেন, ভ্রাম্যমাণ আদালতের নামে সারা দেশে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি তৈরি করছেন আমলারা। সরকারি সাতটি সংস্থা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার জন্য একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা থাকা দরকার।

তারা দাবি জানান, সারা দেশে স্ট্রিট ফুড থেকে শুরু করে যেকোনো রেস্তোরাঁ ভ্যাটের নিবন্ধনের আওতায় আনতে হবে। এতে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হবে, যাতে কোনো ব্যবসায়িক বৈষম্য থাকবে না।

সভায় রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সভাপতি ওসমান গণি, প্রথম যুগ্ম মহাসচিব মো. ফিরোজ আলম সুমন, ট্রেজারার তৌফিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ মোহাম্মদ আন্দালিব, প্রধান উপদেষ্টা খন্দকার রুহুল আমিনসহ কেন্দ্রীয় ও আঞ্চলিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর