বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে’

  •    
  • ১১ ডিসেম্বর, ২০২১ ২০:১৬

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রযুক্তির ব্যবহার প্রতিনিয়ত বাড়ছে। এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশকে চলতে হবে। কৃষি ও শিল্প দুটোই আমাদের প্রয়োজন। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমাদের এগোতে হচ্ছে।’

প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন ফোর্থ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভ্যুলেশনের সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। এতে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন সরকারপ্রধান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রযুক্তির ব্যবহার প্রতিনিয়ত বাড়ছে। এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশকে চলতে হবে। শিল্পায়ন আমাদের প্রয়োজন। কৃষিও আমাদের প্রয়োজন। কাজেই কৃষি ও শিল্প দুটোই আমাদের প্রয়োজন। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমাদের এগোতে হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘বিশ্বে প্রতি শত বছর পরপর শিল্প ক্ষেত্রে বিভিন্ন বিবর্তন দেখা দেয়। এই বিবর্তনের সঙ্গে আমাদের তাল মিলিয়ে চলতে হবে। প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায় ইতোমধ্যে অতিক্রম হয়েছে। এখন চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের দ্বারপ্রান্তে উপস্থিত। সেটা লক্ষ্য রেখে আমাদেরকে প্রস্তুতি নিতে হবে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিজ্ঞানীগণ ধারণা করছেন অদূর ভবিষ্যতে মানুষকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন যন্ত্রের সঙ্গে সহাবস্থান করতে হবে। কিছু নতুন ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। যেমন মেশিন মানুষের কর্মক্ষেত্রকে সংকুচিত করবে, সস্তা শ্রমের চাহিদা কমে যাবে, অসমতা বৃদ্ধি পাবে এবং অভিবাসনকে উৎসাহিত করবে। উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বৈদেশিক বিনিয়োগ কমবে এবং প্রযুক্তিজ্ঞান ক্ষেত্রে বৈষম্য বাড়বে।

‘সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো উন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোর, যার যার গতিতে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার ক্ষেত্র প্রস্তুত হবে। যদি প্রযুক্তি সহজলভ্য, সহজে হস্তান্তরযোগ্য হয় তাহলে সেটা সম্ভব হবে। আর যদি সেটা না হয় তাহলে বৈষম্য থেকে যাবে।’

এ সময় দেশের শিল্পোন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর নানা উদ্যোগ তুলে ধরেন সরকার প্রধান। তুলে ধরেন আওয়ামী লীগ সরকারের নেয়া নানা উদ্যোগও।

তিনি বলেন, ‘১৯৯৬ সালে যখন আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে তখন দেশে কম্পিউটার ব্যবহারকারী ছিল না। আমরাই তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহারে মানুষকে উৎসাহিত করি। অবকাঠমো গড়ে তোলা, বিধিমালা প্রণয়ন এবং প্রযুক্তিজ্ঞান সম্পন্ন দক্ষ নাগরিক সৃষ্টিতে মনোনিবেশ করি। আর এইক্ষেত্রে আমাকে সব সময় পরামর্শ দেয়, সহযোগিতা করে আমার ছেলে সজীব ওয়াজেদ।

‘বিএনপি জামায়াত জোট সরকারের সময়ে সম্ভাবনা থাকার পরও বাংলাদেশ প্রযুক্তি ব্যবহারে পিছিয়ে গিয়েছিল। ১৯৯১ সাল থেকে ১৯৯৫ সাল যখন বিএনপি ক্ষমতায় তখন এই অঞ্চলে ফাইবার অপটিক আসে। বাংলাদেশ তখন বিনামূল্যে ফাইবার অপটিকের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করার একটা সুযোগ পায়।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দুর্ভাগ্য হলো যে তখনকার প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া বলেছিল যে এর সঙ্গে সংযুক্ত হওয়া যাবে না। কারণ আমাদের সব তথ্য নাকি বের হয়ে যাবে। এই জন্য সেই ফাইবার অপটিকসের সঙ্গে বাংলাদেশ যুক্ত হয়নি। এটা হচ্ছে দুর্ভাগ্য। যে কারণে আমরা ব্রডব্যান্ডের সঙ্গেও সংযোগ স্থাপন করতে পারিনি।’

‘পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর সেই উদ্যোগ নেয়। আমাদেরকে বেশি পয়সা দিয়েই তখন এই ফাইবার অপটিকস আনতে হয়। যেটা বেশি খরচ করতে হয়। যদি ওই সময় আমরা পেতাম তাহলে এটা লাগতো না।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের বৃহৎ জনগোষ্ঠীকে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিজ্ঞানসম্পন্ন জনশক্তিতে রূপান্তর করতে আওয়ামী লীগ সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কারণ এই নতুন কর্মসংস্থান যেটা হবে তার সঙ্গে আমাদের দেশের মানুষ যেন তাল মিলিয়ে চলতে পারে আমাদের যেই যুব সমাজ তাদেরকে আমরা সেইভাবেই একেবারে ছোট থেকেই আমরা সেই শিক্ষা দিতে চাই।

‘বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমরাও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই), রোবোটিকস, ইন্টারনেট অফ থিংস সফলভাবে ব্যবহার করতে সক্ষম হব বলে আমি বিশ্বাস করি। কারণ আমাদের ছেলেমেয়েরা অত্যন্ত মেধাবী।’

ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে ধন্যবাদও জানান সরকার প্রধান।

তিনি বলেন, ‘তার কাছ থেকে আমি নিজেও কম্পিউটার চালানো শিখেছি। তারই পরামর্শে সে যখন একদম স্কুলের ছাত্র তখন থেকেই আমাকে এই বিষয়ে পরামর্শ দিত যে ট্যাক্স না কমালে কম্পিউটার কেউ কিনতে পারবে না আর ব্যবহারও করবে না।

‘১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকারে এসে সব ধরনের ট্যাক্স তুলে দেয়। আজকের বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশ এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের পর এখন বাংলাদেশ উদ্ভাবনি বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ হবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের যেটা লক্ষ্য ছিল রূপকল্প-২০২১, বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ হবে। আজকে আমরা উন্নয়নশীল দেশ। উন্নয়নশীল দেশে হিসেবে যে সমস্ত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে আমরা সেই বিষয়ে যথেষ্ট সচেতন এবং সেই প্রস্তুতি আমাদের আছে। আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি।

‘পাশপাশি ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত, সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলব। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে বাংলাদেশ পিছিয়ে থাকবে না। বাংলাদেশ হবে একটা নেতৃত্বদানকারী দেশ, যা চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে নেতৃত্ব দেবে।’

এ বিভাগের আরো খবর