বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পেটে অস্ত্রোপচারের কাঁচি নিয়েই ঘুরছিলেন দেড় বছর

  •    
  • ১১ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৭:৩৭

মুকসুদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক জানান, গত বছরের মার্চে একটি অপারেশনের সময় ভুলে তার পেটের ভেতর কাঁচিটি রেখেই সেলাই দেয়া হয়। ঘটনাটি ঘটে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। হাসপাতালের সহকারী রেজিস্টারের স্বাক্ষরিত ছাড়পত্র অনুযায়ী বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছেন তারা।

পেটে ব্যথা নিয়ে গত বছরের শুরুতে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন এক তরুণী। এরপর তার অস্ত্রোপচার করা হলেও ব্যথা কমেনি।

সম্প্রতি তার পেটের এক্স-রেতে দেখা গেছে, ভেতরে রয়ে গেছে অস্ত্রোপচারের একটি কাঁচি। গত বছরের মার্চে অস্ত্রোপচারের পর থেকেই সেই কাঁচি নিয়ে ঘুরছিলেন তিনি।

ওই তরুণীর নাম মনিরা খাতুন। তিনি গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর থানার ঝুটি গ্রামের খাইরুল মিয়ার মেয়ে।

মনিরার পরিবারের সদস্যরা জানান, পেটে ব্যথার জন্য গত বছরের ৩ মার্চ মনিরার অস্ত্রোপচার হয় ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। অস্ত্রোপচারের কয়েক দিন পরই মনিরাকে বিয়ে দেয়া হয়। অন্তঃসত্ত্বাও হন তিনি। তবে ভ্রূণ নষ্ট হওয়ায় তাকে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেন স্বামী।

এত দিনেও পেটে ব্যথা থাকায় গ্রাম্যচিকিৎসকদেরও দেখানো হয়। সবশেষ কয়েক দিন আগে পেটে অসহনীয় ব্যথা শুরু হলে তাকে মুকসুদপুরের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নেয়া হয়। সেখানে এক্স-রেতে কাঁচিটি দেখতে পান চিকিৎসকরা।

ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে মনিরাকে দেয়া ছাড়পত্র

মুকসুদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক জানান, গত বছরের মার্চে একটি অপারেশনের সময় ভুলে তার পেটের ভেতর কাঁচিটি রেখেই সেলাই দেয়া হয়। ঘটনাটি ঘটে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। হাসপাতালের সহকারী রেজিস্টারের স্বাক্ষরিত ছাড়পত্র অনুযায়ী বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছেন তারা।

তিনি আরও জানান, কাঁচিটির হাতলে মরিচা পড়েছে এবং পেটের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সঙ্গে এটি জড়িয়ে গেছে। দ্রুত অস্ত্রোপচার করে কাঁচিটি বের করা না হলে রোগীর অবস্থা আরও খারাপ হতে পারে।

এ বিষয়ে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের একজন অধ্যাপক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘ঘটনাটি অপ্রত্যাশিত, অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুঃখজনক।’

তিনি আরও বলেন, ‘ওই রোগী এখনও আমাদের হাসপাতালে আসেননি। যদি তিনি এই হাসপাতালে আসেন, তাহলে তাকে ভর্তি করে সঠিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে যথাযথ চিকিৎসা আমরা দেব।’

অস্ত্রোপচারের অবহেলার বিষয়ে বলেন, ‘ওই সময়ে এই হাসপাতালে আমি ছিলাম না, তাই কোন চিকিৎসক এই অপারেশনটি করেছেন বা কারা তখন দায়িত্বে ছিলেন, সেটা আমার পক্ষে বলা সম্ভব না।’

হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা মোহাম্মাদ আসাদ উল্লাহ সুমন বলেন, ‘আগে আমাদের নিশ্চিত হতে হবে ঘটনাটি এই হাসপাতালে ঘটেছে কি না। যদি রোগীর কাছে কোনো ডকুমেন্টস থাকে, তাহলে সেই কাগজপত্রসহ একটি আবেদন প্রশাসনিক ভবনে দিলে, হাসপাতাল প্রশাসন সার্জারি বিভাগের কাছে এই বিষয়ে জানতে চাইবে।’

এ বিভাগের আরো খবর