চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোলার বোরহানউদ্দিনে দুজন স্বতন্ত্র ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান প্রার্থীর ওপর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ উঠেছে।
বোরহানউদ্দিন উপজেলার পক্ষিয়া ইউনিয়নে শুক্রবার রাতে ও শনিবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।
তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী নাগর হাওলাদার।
বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিন ফকির জানান, পক্ষিয়া ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী কাঞ্চন মাঝির ওপর হামলার ঘটনায় চারজনকে আসামি করে মামলা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, পক্ষিয়া ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী কাঞ্চন মাঝি শুক্রবার রাত ৯টার দিকে বোরহানগঞ্জ বাজারে নির্বাচনি প্রচার চালানোর সময় নৌকা প্রার্থীর সমর্থকরা তার ওপর হামলা চালায়। এতে কাঞ্চনসহ ১০ জন নেতা-কর্মী আহত হন। তাদের বোরহানউদ্দিন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
একই ইউনিয়নের আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী আলাউদ্দিন সরদার অভিযোগ করেন, ‘শনিবার সকালে কাইমিজি বাড়ি এলাকায় নির্বাচনি প্রচারের সময় নৌকার কর্মী-সমর্থকরা আমাদের ওপর হামলা চালায়। আমার হাত-পায়ে ও মাথায় গুরুতর জখম হয়েছে। তারা আমার বহরের মোটরসাইকেলও ভাঙচুর করেছে।
‘নৌকার সন্ত্রাসীদের বাধার মুখে আমি হাসপাতালে না গিয়ে বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছি। এই হামলার প্রতিবাদে আমার কর্মীরা এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে।’
নৌকার প্রার্থী নাগর হাওলাদার বলেন, ‘এগুলো সব মিথ্যা অভিযোগ। আমার কোনো কর্মী এসবের সঙ্গে জড়িত নয়।’
ওসি জানান, স্বতন্ত্র প্রার্থী আলাউদ্দিনের ওপর হামলার বিষয়টি শুনেছেন। তবে কেউ এখনও এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেবেন।