মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলার হরিশপুর গ্রামের আল আমিনকে পাওয়া যাচ্ছিল না দুই দিন ধরে। বৃহস্পতিবার ইজিবাইক নিয়ে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হন তিনি।
শনিবার তার মরদেহ মিলেছে যশোরের চাঁচড়া এলাকার পুলির হাটে। এর আগের দিন শুক্রবার তার ইজিবাইকটি পাওয়া যায় একই এলাকার পুলিশ ফাঁড়ির কাছে।
তার মায়ের অভিযোগ, আল আমিনের বাবা মুস্তাফিজুর রহমানের দ্বিতীয় স্ত্রী হালিমা বেগমের বাবার বাড়িও একই এলাকায়। হালিমা এখন বাবার বাড়িতেই থাকছেন। জমি নিয়ে বিরোধের জেরে তার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
আল আমীনের বাবা মুস্তাফিজুর রহমান জানান, সারা দিন ইজিবাইক চালিয়ে তার ছেলে খুব দুর্বল থাকত। এ জন্য রাতে খাওয়ার পরই ঘুমিয়ে পড়ত। তবে গত বৃহস্পতিবার রাতে না ফিরলে তারা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। তবে দুই দিনেও তার খোঁজ পাননি।
দ্বিতীয় স্ত্রীর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন ছেলের মরদেহ নিয়ে বাড়িতে যাচ্ছেন। এ বিষয়ে পরে বলবেন।
বাঘারপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ উদ্দিন জানান, মরদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য যশোর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। মৃত্যুর কারণ এখনই বলা সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, ‘মাগুরার শালিখা উপজেলা পুলিশের সহায়তা নেয়া হচ্ছে। তারা আমাদের বেশ কিছু বিষয়ে সহযোগিতা করছেন। তদন্ত চলছে।
‘তার বাড়ি মাগুরা জেলায় হলেও ঘটনার আলামত ও মরদেহ এখানে হওয়ায় বিষয়টি আমাদের তদন্ত করতে হচ্ছে। তবে তার পরিবার থেকে এখন পর্যন্ত কোনো মামলার প্রক্রিয়া শুরু হয়নি।’
শালিখা থানার ওসি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘যশোর পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করেছে, তাই মামলা ও তদন্ত পুরোটাই তারা করবে। তবে আমরা ছায়া তদন্ত করছি।
‘ছেলেটির সৎমা যে এলাকায় থাকেন সেই এলাকায় তার মরদেহ পাওয়া গেছে। তাই ইজিবাইক ছিনতাইয়ের কারণে নাকি পারিবারিক বিষয় জড়িত তা তদন্ত ছাড়া বলা সম্ভব নয়।’