পাবনার ভাঁড়ারা ইউনিয়নে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সমর্থকদের হামলায় স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ইয়াসিন আলম নিহত হয়েছেন।পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, নৌকা ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ওই ঘটনায় গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে ওসি জানান, ভাঁড়ারা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের প্রচার নিয়ে শনিবার সকালে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী সুলতান মাহমুদ খান ও আনারস প্রতীকের ইয়াসিন আলমের সমর্থকদের সঙ্গে নৌকা প্রতীকের আবু সাঈদ খানের অনুসারীদের সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
এতে উভয় পক্ষের গুলিবিদ্ধসহ আহত হন অন্তত ১৫ জন। আহতদের পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দুজনকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে ইয়াসিনের মৃত্যু হয়।
পাবনা জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক জাহেদী হাসান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ইয়াসিন আলমকে হাসপাতালে আনা হয়। আমরা তাকে দ্রুত রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দিই।’
ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন, পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী সুলতান মাহমুদ খান ও নিহত ইয়াসিন আলম সম্পর্কে চাচাতো ভাই বলে জানান ওসি।