বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

  •    
  • ১১ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৩:১৫

চাঁদে বিগত মানব মিশনগুলোতে মহাকাশচারীরা পৃষ্ঠতলে উপস্থিত ধূলিকণার মধ্যে কাজ করতে সমস্যার সম্মুখীন হয় বলে অভিযোগ করে আসছিলেন। কম গ্রাভিটিতে মূলত ধূলিকণা সহজেই উৎক্ষিপ্ত হয়ে ভাসতে থাকে, ফলে নমুনা সংগ্রহ করতে কষ্ট হতো মহাকাশচারীদের।

দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বের ১৬২টি দেশের ৪ হাজার ৫৩৪টি দলকে হারিয়ে নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ।

‘নাসা বেস্ট মিশন কনসেপ্ট’ ক্যাটাগরিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশের খুলনা থেকে চ্যাম্পিয়ন হিসেবে নাসায় মনোনয়ন পাওয়া দল ‘টিম মহাকাশ’।

টিম মহাকাশের উদ্ভাবিত টুলস ‘ARSS-Advanced Regolith Sampler System’ মূলত মহাকাশচারীরা ভিনগ্রহের পৃষ্ঠে অভিযানের সময় মুক্তভাবে উড়তে থাকা ধূলিকণা নিয়ন্ত্রণের কাজ করতে পারবেন।

চাঁদে বিগত মানব মিশনগুলোতে মহাকাশচারীরা পৃষ্ঠতলে উপস্থিত ধূলিকণার মধ্যে কাজ করতে সমস্যার সম্মুখীন হয় বলে অভিযোগ করে আসছিলেন। কম গ্রাভিটিতে মূলত ধূলিকণা সহজেই উৎক্ষিপ্ত হয়ে ভাসতে থাকে, ফলে নমুনা সংগ্রহ করতে কষ্ট হতো মহাকাশচারীদের।

একই সঙ্গে মহাজাগতিক রেডিয়েশনের কারণে আয়নিত হওয়ায় তা স্পেসস্যুটের গায়ে লেগে থেকে স্যুট ড্যামেজ করার মতো পরিস্থিতি তৈরি করত।

টিম মহাকাশ এ সমস্যার কার্যকর একটি সমাধান বের করে একটি টুলসেট উদ্ভাবন করে, যেটি এই ধূলিকণাগুলোকে আবদ্ধ চেম্বারে আটকে ফেলে এবং ধূলিকণাগুলোকে ভেসে থাকার মতো পরিস্থিতি তৈরি করতে দেয় না।

নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০২১-তে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব সাফল্যে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক।

তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মিত হচ্ছে আমাদের তরুণদের হাত ধরে। তরুণদের নিয়ে গড়া খুলনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) এবং বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভার্সিটি অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি (বাউয়েট) সম্মিলিত টিম মহাকাশ বিশ্বচ্যাম্পিয়নের খেতাব অর্জন করেছে। আমি টিম মহাকাশকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। এ অর্জন ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার আরেকটি অনন্য দৃষ্টান্ত।’

অর্জন সম্পর্কে বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর বলেন, ‘এ বছর আমাদের লক্ষ্যই ছিল গত আসরগুলোর তুলনার ভালো করা। ২০১৮ সালে আমরা বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছিলাম, কিন্তু দ্বিতীয়বারের মতো নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জে বিশ্বচ্যাম্পিয়নের খেতাব অর্জন নিঃসন্দেহে বড় অর্জন।’

বেসিস সহসভাপতি ফারহানা এ রহমান বলেন, ‘আমরা আবারও বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছি। বিজয়ের মাসে এ অর্জন গোটা বাংলাদেশের। টিম মহাকাশ বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করেছে।’

টিম মহাকাশের দলনেতা সুমিত চন্দ বলেন, ‘নিজের দেশকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে পারাটা সব সময় গর্বের। আমরা এমন একটি সমস্যার সমাধান নিয়ে কাজ করেছি, যেটি নিয়ে নাসাসহ পৃথিবীর বড় বড় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা এখনো গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে।

‘বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা চাইলেই পৃথিবীর বড় বড় সমস্যার সমাধান বের করে ফেলতে পারে, সেটা আবারও দেখিয়ে দিয়েছি আমরা। গত বছর থেকে আমরা এই প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি, যার পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান বেসিসের। এ জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ।’

বেসিস ও বেসিস স্টুডেন্টস ফোরামের সহযোগিতায় আয়োজিত নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার এবারের আসরে বাংলাদেশ থেকে আট শতাধিক প্রকল্প জমা পড়েছিল।

অসম্পূর্ণ প্রকল্প বাতিল করার পর যাচাই-বাছাই শেষে ১২৫টি প্রকল্পের প্রতিনিধিরা ৪৮ ঘণ্টাব্যাপী হ্যাকাথনে অংশ নেন এবং সেরা ২৭টি প্রকল্প নাসার জন্যে বাংলাদেশ থেকে মনোনীত করা হয়।

বাংলাদেশের ৯টি শহরে (ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, রংপুর, ময়মনসিংহ ও কুমিল্লা) আয়োজিত হয়।

এ বিভাগের আরো খবর