সারা রাত অভিযানের পর কক্সবাজারের রামুতে ‘অপহরণ হওয়া’ চার স্কুলছাত্রের শেষজনকেও উদ্ধার করেছে র্যাব।
টেকনাফের লেদা ক্যাম্পের পেছনের পাহাড় থেকে শনিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে মিজানুর রহমান নয়নকে উদ্ধার করা হয়।
কক্সবাজার র্যাব-১৫-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল খায়রুল ইসলাম সরকার নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘নয়নকে উদ্ধারে র্যাব সারা রাত অভিযান চালিয়েছে। দুর্বৃত্তরা তাকে গহিন অরণ্যে রেখে পালিয়ে যায়। আমরা সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করেছি। এ বিষয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।’
এর আগে টেকনাফের নয়াপাড়ার শালবন পাহাড় থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে জাহেদুল ইসলাম মামুন ও মিজানুর রহমানকে এপিবিএন ও তার আগে একই এলাকা থেকে মোহাম্মদ কায়সারকে উদ্ধার করে র্যাব।
গত বুধবার রাতে রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নের পেচারদ্বীপের মংলাপাড়া এলাকার চার স্কুলছাত্র নিখোঁজের অভিযোগ করেন স্বজনরা।
তাদের মধ্যে জাহেদুল সোনারপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র ও বাকিরা অষ্টম শ্রেণির।
অভিযোগে বলা হয়, কক্সবাজারের রামুর পেচারদ্বীপের বাতিঘর নামে একটি কটেজের কর্মচারী জাহাঙ্গীর আলম ও মো. ইব্রাহীমের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় চার স্কুলছাত্রের। ৭ ডিসেম্বর সকাল ১০টার দিকে চারজনকে সেন্টমার্টিন বেড়াতে নেয়ার কথা বলে টেকনাফের হোয়াইক্যাং এলাকায় নিয়ে যান জাহাঙ্গীর ও ইব্রাহীম। বেড়াতে যাওয়ার পর থেকে তাদের খোঁজ মিলছে না।
স্বজনদের অভিযোগ, নিখোঁজের ২৪ ঘণ্টা পর ৮ ডিসেম্বর দুপুরে স্বজনদের কাছে বিভিন্ন অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন করে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। আর তা না পেলে মরদেহ ফেরত পাঠানোর হুমকি দেয়া হয়।
এরপর চার স্কুলছাত্রকে অপহরণের অভিযোগে টেকনাফের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে শুক্রবার ভোরে তিন রোহিঙ্গাকে আটক করে এপিবিএন।