বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

একাত্তরের যুদ্ধ-সন্তানদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দাবি

  •    
  • ১০ ডিসেম্বর, ২০২১ ২৩:২১

নারীপক্ষের সদস্য রেহানা সামদানী কণা বলেন, ‘বীরাঙ্গনা বোনেরা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে উপেক্ষিত, অনুপস্থিত। তাদের অস্তিত্বকে অন্ধকারে রেখে দেয়া হয়েছে। তাদের ওপর হওয়া নির্যাতনের ঘটনা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে সামান্য উল্লেখ ছাড়া সেভাবে স্থান পায়নি। বাস্তব জীবনেও তারা পরিবার ও সমাজে আশ্রয় পাননি।

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসরদের নির্যাতনের শিকার বীরাঙ্গনার সন্তানদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবি জানিয়েছে নারীপক্ষ।

এই দাবিতে শুক্রবার সন্ধ্যায় সংগঠনটি রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মোমবাতি প্রজ্বালন করেছে।

নারীপক্ষ ১৯৮৮ সাল থেকে বিজয় দিবসের আগে মুক্তিযুদ্ধে হারিয়ে যাওয়া স্বজনদের স্মরণে ‘আলোর স্মরণে কাটুক আঁধার’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আসছে। অনুষ্ঠানের এবারের প্রতিপাদ্য- ‘একাত্তরের যুদ্ধসন্তানদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দাবি’।

নারীপক্ষের পক্ষ থেকে দুটি দাবি উত্থাপন করা হয়। তা হলো- বিদেশে অবস্থানরত সব যুদ্ধ-সন্তানকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব গ্রহণ করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে উন্মুক্ত আহ্বান এবং রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির মাধ্যমে দেশে বসবাসরত যুদ্ধ-সন্তানদের পরিচয়কে সম্মানসূচক অবস্থান দেয়া।

নারীপক্ষের সদস্য কামরুন নাহারের আহ্বানে আয়োজনে দলীয় গান ছিল ‘আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে’ ও ‘গৌরী শৃঙ্গ তুলেছে শির’। মোমবাতি প্রজ্বালন করে সাংস্কৃতিক সংগঠন জলতরঙ্গ।

ঘোষণাপত্র পাঠ করেন নারীপক্ষের সদস্য রেহানা সামদানী কণা। 'জন্ম থেকে জ্বলছি মাগো' গান পরিবেশন করেন সোমা দাস। ‘আমরা যুদ্ধ-শিশু’ বই থেকে আবৃত্তি করেন আসমাউল হুসনা আঁখি। আবু জাফর উবায়দুল্লাহর ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতা পাঠ করেন ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধের সময়ের বিভিন্ন স্মৃতিচারণ করেন মুক্তিযোদ্ধা ও যুদ্ধ-সন্তানেরা।

ঘোষণাপত্র পাঠকালে রেহানা সামদানী কণা বলেন, ‘বীরাঙ্গনা বোনেরা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে উপেক্ষিত, অনুপস্থিত। তাদের অস্তিত্বকে অন্ধকারে রেখে দেয়া হয়েছে। তাদের ওপর হওয়া নির্যাতনের ঘটনা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে সামান্য উল্লেখ ছাড়া সেভাবে স্থান পায়নি। বাস্তব জীবনেও তারা পরিবার ও সমাজে আশ্রয় পাননি।

‘দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তাদের সেই গর্ভজাত যুদ্ধ-সন্তানদের পারিবারিক, সামাজিক, এমনকি রাষ্ট্রীয়ভাবেও পরিত্যাগ করা হয়। যুদ্ধ-সন্তানদের অনেকে তাদের মায়ের আশ্রয়ও পায়নি। অনেককে দেশান্তরিত হতে হয়েছে দত্তক হিসেবে। আর যারা দেশেই আছেন তাদের যুদ্ধসন্তান পরিচয়ের কারণে প্রতিনিয়ত অবহেলা, অপমান ও নিগ্রহের শিকার হতে হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে। আমরা চাই রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির মাধ্যমে যুদ্ধ-সন্তানদের পরিচয়কে সম্মানসূচক অবস্থানে স্থাপন করা হোক।’

এ বিভাগের আরো খবর