প্রধানমন্ত্রীকে জড়িয়ে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেয়ার অভিযোগে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের বিরুদ্ধে বরগুনায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন এক যুবলীগ নেতা।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বরগুনা সদর থানায় ডায়েরিটা করেন সদর উপজেলা যুবলীগের সদস্য মাহমুদুল বারি রনি।
তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে জড়িয়ে বিএনপি নেতা আলালের এমন বক্তব্যে আমি সংক্ষুব্ধ। আলালের এমন বক্তব্য ধৃষ্টতাপূর্ণ অপপ্রচারের বিরুদ্ধে একজন নাগরিক হিসেবে আমি বিষয়টি আপাতত সাধারণ ডায়েরি করেছি। যুবলীগের একজন কর্মী হিসেবে আমি আলালের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলাও করতে চাই।’বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কে এম তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেব।’
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তার নাতনি জাইমা রহমানকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য করায় পদত্যাগী তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানের পদত্যাগ ও শাস্তির দাবিতে বিএনপির নানা বক্তব্যের মধ্যে বিএনপি নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের একটি ‘কুরুচিপূর্ণ’ বক্তব্যের ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
বিএনপি ঘরানার একটি আলোচনায় দলটির যুগ্ম মহাসচিব আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে জড়িয়ে এমন একটি মন্তব্য করেন, যেটি জাইমাকে নিয়ে মুরাদ হাসানের করা মন্তব্যের প্রায় কাছাকাছি।
ব্যক্তিগত সম্পর্ক বিষয়ে অশালীন বক্তব্য ছাড়াও ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকেও উসকানিমূলক বক্তব্য রাখেন আলাল।
এই ভিডিও পোস্ট করে বিএনপি নেতার শাস্তির দাবি জানাচ্ছেন আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। আলালের বিরুদ্ধে বিএনপি কী ব্যবস্থা নেবে- সেই প্রশ্ন রেখেছেন ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষ নেতারাও।
আলালের এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলায় মামলা ও সাধারণ ডায়েরি হয়েছে।
আলাল বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছেন বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
গত ৮ ডিসেম্বর এই ইস্যুতে গণমাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে আলালের সেই বক্তব্যকে তার ‘ন্যায়সংগত সমালোচনা’ উল্লেখ করে তার বিরুদ্ধে মামলা ও জিডির সমালোচনা করেন ফখরুল।
ফখরুল সেদিন বলেন, ‘সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বিএনপির একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা। অন্যায়ের বিরুদ্ধে তিনি সব সময় সোচ্চার থাকেন। সে জন্যই সরকার তাকে টার্গেট করে ছাত্রলীগ নেতাকে দিয়ে শাহবাগ থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছে।’
চট্টগ্রামে মিছিল
বিকেল ৪টায় নগরীর কোতোয়ালি থানা এলাকায় মিছিলটির আয়োজন করে দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগ। নগরীর আন্দরকিল্লার দলীয় কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে লালদীঘি ও কোতোয়ালি মোড় এলাকা প্রদক্ষিণ করে নিউমার্কেট মোড়ে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয় মিছিলটি।
সমাবেশে আলালের শাস্তির দাবির পাশাপাশি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগকর্মী শহীদ ফারুক হোসেন, বুয়েট ছাত্রলীগকর্মী শহীদ আরিফ রায়হান দ্বীপ, বুয়েট ছাত্রী সাবিকুন নাহার সনি, চট্টগ্রামের বাকলিয়া সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের আট নেতা-কর্মী হত্যার রায় দ্রুত ঘোষণার দাবিও জানান তারা।