বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নির্বাচনে হেরে মসজিদ ভেঙে নিলেন সাবেক চেয়ারম্যান

  •    
  • ১০ ডিসেম্বর, ২০২১ ২১:০৩

সরোয়ার আলম বলেন, ‘মসজিদটি ভেঙে নেয়ার বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। এতে ইউনিয়নবাসীর সম্মান ক্ষুণ্ণ হয়েছে। তিনি কাজটি ভালো করেননি। ওই স্থানে আমরা গ্রামবাসী মিলে একটি পাকা মসজিদ স্থাপন করব।’

নির্বাচনে হেরে ইউনিয়ন কমপ্লেক্সের জমিতে টিনের তৈরি একটি মসজিদ ভেঙে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার বহুরিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া সেলিমের বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার তিনি টিনের তৈরি মসজিদ ভেঙে ট্রাকে করে নিয়ে যান বলে অভিযোগ করেছে গ্রামবাসী। এ ঘটনার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।

১১ নভেম্বর ওই ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী গোলাম কিবরিয়া সেলিম পরাজিত হন। নির্বাচিত হন বিদ্রোহী প্রার্থী নুরে আলম মুক্তা।

এর আগে ২০১৬ সালে উপজেলার বহুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে গোলাম কিবরিয়া সেলিম নির্বাচিত হন।

২০১৮ সালে ওই ইউনিয়ন কমপ্লেক্সের জমিতে টিন দিয়ে ওই মসজিদটি তৈরি করেছিলেন তিনি।

মসজিদের পাশের বাসিন্দা সরোয়ার আলম বলেন, ‘মসজিদটি ভেঙে নেয়ার বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। এতে ইউনিয়নবাসীর সম্মান ক্ষুণ্ণ হয়েছে। তিনি কাজটি ভালো করেননি। ওই স্থানে আমরা গ্রামবাসী মিলে একটি পাকা মসজিদ স্থাপন করব।’

নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান নুরে আলম বলেন, ‘আমি এখনও শপথ নিইনি। ইউনিয়ন কমপ্লেক্সের ওয়াকফ করা জমিতে যেহেতু এ মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছিল, অতএব ওই মসজিদ ভেঙে নেয়ার অধিকার ওই চেয়ারম্যান সাহেবের নেই।’

এ বিষয়ে গোলাম কিবরিয়া সেলিম বলেন, ‘আমার খালাতো ভাই ইব্রাহিম হোসেনের ব্যক্তিগত টাকায় ওই নামাজখানাটি টিন দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল। কয়েক মাস ধরে ওই স্থানে কেউ নামাজ আদায় করছেন না। খালাতো ভাইয়ের অনুমতি নিয়েই ওই নামাজখানাটি অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে।’

উপজেলা ইমাম সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল লতিফ বলেন, ‘নামাজখানা হলেও তিনি সেটি ভেঙে নিয়ে যেতে পারেন না। কাজটি তিনি ভালো করেননি। এ ধরনের কাজ ইসলাম সমর্থন করে না।’

এ বিভাগের আরো খবর