‘সাবেক সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান এবং দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আওয়ামী লীগ সভাপতি ও দলের নেতাকর্মীদের ওপর চরম অমানবিক আচরণ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর পরও খালেদা জিয়ার প্রতি যে মহানুভবতা দেখিয়েছেন, তা থেকে বিএনপির অনেক কিছু শেখার আছে।’
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ শুক্রবার এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন।
৭৩তম বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা এবং আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ওপর জিয়া ও খালেদা জিয়া চরম অমানবিক আচরণ করার পরও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের প্রতি যে মহানুভবতা দেখিয়ে চলেছেন, তা থেকে বিএনপির অনেক কিছু শিক্ষণীয় আছে।’
মানবাধিকার প্রশ্নে বিএনপির নানা বিরূপ মন্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নেত্রী ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িতে মিলাদ পড়াতে চেয়েছিলেন। জিয়াউর রহমান তাকে ওই বাড়িতে ঢুকতে দেননি। রাস্তায় বসে মিলাদ পড়াতে হয়েছিল।’
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় ২২ নেতাকর্মীসহ ২৪ জন নিহত হওয়ার বিষয়টিও উঠে আসে তথ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে। তিনি বলেন, ‘এ প্রসঙ্গে সংসদে আনা শোক প্রস্তাবের প্রতি হাস্যরস করে বিএনপি নেতারা যখন বলেছেন যে শেখ হাসিনা নিজেই গ্রেনেড নিয়ে গিয়েছিলেন, তখনও বেগম জিয়া হেসেছেন। এবং নিজের জন্মতারিখ বদলে দিয়ে খালেদা জিয়া ১৫ আগস্ট যখন সহাস্যে কেক কাটেন, তখন তাদের মানবাধিকারের কথা মনে ছিল না?’
তথ্যমন্ত্রী তার বক্তব্যে গৃহকর্মীদের অধিকার রক্ষার বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দেন। তিনি বলেন, ‘নিজেদের ঘর থেকে শুরু করে আশপাশে ও সমাজের মানুষের অধিকার রক্ষায় যদি আমরা পদক্ষেপ নিতে পারি, তবেই রাষ্ট্রে মানবাধিকার রক্ষা হবে।
‘মানবাধিকার রক্ষায় যেসব দেশের কণ্ঠ উচ্চকিত, সেসব দেশে যখন মানুষের অধিকার রক্ষিত হবে, তখনই বিশ্ব পরিমণ্ডলে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে। অন্যথায় মানবাধিকার শুধু একটি স্লোগান হয়েই থেকে যাবে।’
সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী সভার উদ্বোধন করেন।
ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি ছিদ্দিকুর রহমান মিয়ার সভাপতিত্বে ঢাকায় ভুটানের রাষ্ট্রদূত রিনচেন কুয়েন্টসিল, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক সভাপতি কাজী রিয়াজুল হক এবং নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুর রশীদ সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।