বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কষ্ট না দিয়ে রাজস্ব আদায় চান অর্থমন্ত্রী

  •    
  • ১০ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৫:১১

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘জনগণ কর দিতে চায়, কিন্তু ভয় পায়। আমাদের এমন পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে, যাতে নির্বিঘ্নে কর দিতে পারেন তারা। এ জন্য আইন-কানুন সহজ করতে হবে। তা হলে জনগণ কর দিতে এগিয়ে আসবে।’

জনগণের নির্বিঘ্নে কর দেয়ার সুবিধার্থে আইন-কানুন সহজ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে শুক্রবার জাতীয় ভ্যাট দিবস ও ভ্যাট সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আয়োজিত অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘জনগণ কর দিতে চায়, কিন্তু ভয় পায়। আমাদের এমন পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে, যাতে নির্বিঘ্নে কর দিতে পারেন তারা। এ জন্য আইন-কানুন সহজ করতে হবে। তা হলে জনগণ কর দিতে এগিয়ে আসবে।’

অনুষ্ঠানে জাতীয় পর্যায়ে সর্বোচ্চ ভ্যাটদাতাদের সম্মাননা দেয়া হয়। এ বছর সারা দেশে ৫২৫ জন ব্যবসায়ীকে সেরা ভ্যাটদাতা হিসেবে নির্বাচন করা হয়।

ঢাকার ৯ জন সেরা ভ্যাটদাতাকে শুক্রবার সম্মাননা দেয়া হয়। তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অর্থমন্ত্রী।

জনগণকে ভ্যাট দেয়ায় উদ্বুদ্ধ করতে ২০১৩ সাল থেকে জাতীয় ভ্যাট দিবস পালন করে আসছে এনবিআর। এবারের দিবসের প্রতিপাদ্য হলো ‘অনলাইনে ভ্যাট দিন, দেশ গড়ায় অংশ নিন।’

অভ্যন্তরীণ সম্পদ সংগ্রহের সবচেয়ে বড় উৎস হলো ভ্যাট। এনবিআরের মাধ্যমে সংগৃহীত মোট রাজস্ব আহরণের ৩৯ শতাংশ ভ্যাট থেকে আসে।

গত অর্থবছরে রাজস্ব আহরণ হয়েছিল ২ লাখ ৬২ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ভ্যাটের অবদান ৯৭ হাজার কোটি টাকা।

রাজা চুর্তদশ লুইয়ের উদ্ধৃতি টেনে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘রাজহাঁসের যত খুশি পালক তোলো, ক্ষতি নেই, কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে হাঁস যাতে ব্যথা না পায়।’

রাজস্ব কর্মকর্তাদের উদ্দেশে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য থাকবে রাজস্ব আয় বাড়ানো। এটা করতে গিয়ে খেয়াল রাখতে হবে জনগণ যাতে কষ্ট না পায়। আইন সহজ ও সেবার মান বাড়িয়ে রাজস্ব আদায় করতে হবে।’

রাজস্ব আয়ের বৃদ্ধির তথ্য তুলে ধরে অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০০৫-০৬ অর্থবছরে দেশে রাজস্ব আহরণ হয়েছিল ৪৪ হাজার ১৩১ কোটি টাকা। ২০২০-২১ অর্থবছরে এটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ২৮ হাজার কোটি টাকায়।

‘এটি আমাদের বড় অর্জন’ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের এখানে থামলে চলবে না। এখন আমাদের শুধু এগিয়ে চলার পালা। যেতে হবে অনেক দূর।’

এনবিআরের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি জসিম উদ্দিন।

ভ্যাট দিবস উপলক্ষে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এনবিআরের ভ্যাট সদস্য (নীতি) মাসুদ সাদিক। স্বাগত বক্তব্য দেন সদস্য (এনফোর্সমেন্ট) ড. আবদুল মান্নান সিকদার। এর ওপর বক্তব্য দেন ভ্যাট কমিশনার সৈয়দ মুসফিকুর রহমান ও সাবেক কমিশনার আব্দুল কাফি।

এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, ‘হয়রানি, দাবিনামা, নোটিশ জারি করে ভ্যাট আদায়ের কৌশল ব্যবসায়ীদের জন্য সহায়ক নয়, তবে যারা ইচ্ছাকৃত ফাঁকি দেয় তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।’

আদায় বাড়াতে উপজেলা পর্যন্ত ভ্যাট অফিস সম্প্রসারণের পরামর্শ দিয়ে তিনি আরও বলেন, ভ্যাট দিতে সক্ষম এমন অনেক প্রতিষ্ঠান আছে। এদের সবাইকে আওতায় আনতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘অনেকেই কর ছাড়ের বিরোধিতা করেন; আমি তা সমর্থন করি না। কর ছাড়ের প্রয়োজন আছে। কারণ এর সঙ্গে উৎপাদন ও কর্মসংস্থান জড়িত। তবে যাছাই- বাছাই করে সুবিধা দেয়া উচিত।’

তিনি আরও বলেন, ‘রাজস্ব বিভাগের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য প্রশাসনিক কার্যক্রমের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এটা হলে মাঠ পর্যায়ে জনবলের যে ঘাটতি আছে তা পূরণ হবে।’

সর্বোচ্চ ভ্যাটদাতা হিসেবে যেসব প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা দেয়া হয় তার মধ্যে রয়েছে এরিস্টো ফার্মা, স্কয়ার টয়লেট্রিজ, এস এম মোটরস, এমকো বাজাজ ইন্টারন্যাশনাল, গোল্ডেন প্লাজা, ম্যাপস ইউনিয়ন, ই-ডটকো লিমিটেড, গ্রে-অ্যাডভার্টাইজিং বাংলাদেশ লিমিটেড ও রোবাট বস বাংলাদেশ লিমিটেড।

এ বিভাগের আরো খবর