বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর বিষয়ে আইন আইনের গতিতে চলবে মন্তব্য করে আইনমন্ত্রী বলেছেন, ‘আইন জিয়াউর রহমানের গতিতে চলবে না।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় শুক্রবার সকালে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘বাঙালি রীতিনীতি অনুযায়ী একজন শত্রুর বাড়িতে যদি কেউ মারা যায়, তাকে আমরা দেখতে যাই। বেগম খালেদা জিয়ার ছেলে যখন মারা যান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাড়িতে সমবেদনা জানাতে গিয়েছিলেন। তখন গেটটি বন্ধ করে দেয়া হয়। অপমান করেছিল শেখ হাসিনাকে।
‘কিন্তু তারপরেও বেগম খালেদা জিয়া জেলে থাকার সময়ে অসুস্থ হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে মুক্ত করে দিতে বলেছিলেন আমাকে। তারপর দুটি শর্তে বেগম খালেদা জিয়াকে ছেড়ে দেয়া হলো। তিনি বিদেশ যেতে পারবেন না এবং তাকে নিজ বাস ভবনে থেকে চিকিৎসা নিতে হবে।’
টাকা আত্মসাতের মামলায় দণ্ডের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘তারপরেও মানবিক দিক চিন্তা করে শেখ হাসিনা বিচার কাজ স্থগিত রেখে নির্বাহী আদেশে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়েছেন।’
আনিসুল হক বলেন, ‘একটা কথা আছে, দাঁড়াইতে দিলে বসতে চায়, বসতে দিলে শুইতে চায়, শুইতে দিলে ঘুমাইতে চায়। যেখানে এতোকিছুর পর তাকে জেল থেকে মুক্ত করে দেশে চিকিৎসা করার জন্য সুযোগ দেয়া হয়েছে, সেখানে এখন তাকে বিদেশ পাঠানোর দাবি করতেছে।
‘তারা বলেন আন্দোলন করবেন, এক দফা এক দাবি, কিন্তু মানবিকতা আন্দোলনের মাধ্যমে কামাই করা যায় না। আর আইন আইনের গতিতে চলবে। আইন জিয়াউর রহমানের গতিতে চলবে না।’
বিএনপি চেয়ারপারসনের মুক্তি ও তাকে বিদেশ নিয়ে চিকিৎসার দাবিতে বেশ কিছুদিন থেকে আন্দোলন করছেন দলটির নেতা-কর্মীরা। শারীরিক নানা জটিলতা নিয়ে খালেদা জিয়া এখন রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।