বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মেয়র আব্বাস সাময়িক বরখাস্ত

  •    
  • ১০ ডিসেম্বর, ২০২১ ০১:০১

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, মো. আব্বাস আলীকে স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন, ২০০৯ এর ধারা ৩১ উপ-ধারা (১) প্রদত্ত ক্ষমতাবলে নির্দেশক্রমে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো।

রাজশাহীর কাটাখালী পৌরসভার মেয়র আব্বাস আলীকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপন নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের পর একাধিক মামলার আসামি হওয়া ও কাউন্সিলরদের অনাস্থার মুখে এ সিদ্ধান্ত এসেছে।

বৃহস্পতিবার জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

কাটাখালীর পৌর মেয়র আব্বাস আলী সম্প্রতি একটি আলোচনায় নিজ এলাকায় বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপনের বিরোধিতা করে কথা বলেন। সে আলোচনার অডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

গত ৩ নভেম্বর তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়। ২২ নভেম্বর প্রথমে তাকে পৌর আওয়ামী লীগ এবং ২৬ নভেম্বর তাকে জেলা আওয়ামী লীগের পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। আব্বাসের বিরুদ্ধে অনাস্থা জানান পৌর কাউন্সিলররা। সে জন্য তারা জেলা প্রশাসককে চিঠিও দেন।

মূলত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হলে তিনি গ্রেপ্তার এড়াতে দেশ ছেড়ে পালানোর পরিকল্পনা করেছিলেন। সে উদ্দেশ্যে তিনি বেশ কিছুদিন ঢাকায় হোটেলে অবস্থান করছিলেন। এরই এক পর্যায়ে ১ ডিসেম্বর সকালে আব্বাস আলীকে কাকরাইলের রাজমনি ঈশা খাঁ হোটেল থেকে র‍্যাব আটক করে। সে সময় তার পাসপোর্ট জব্দ করা হয়।

র‍্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে আব্বাস আলী ভাইরাল হওয়া অডিও রেকর্ডটি তার বলে স্বীকার করেছেন।

রাজশাহীর কাটাখালী পৌরসভার মেয়র আব্বাস আলীকে রাজধানীর একটি হোটেল থেকে আটক করে র‍্যাব। ছবি: নিউজবাংলা

সাময়িক বরখাস্তের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘আব্বাস আলী, পিতা-মৃত আশরাফ আলী, সাং-কাটাখালী (বাখরাবাজ), থানা-কাটাখালী, রাজশাহী বর্তমানে রাজশাহী জেলাধীন কাটাখালী পৌরসভার মেয়র। বায়োলিয়া মডেল থানায় আপনার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮ এর ২১(২)/ ২৫(১) (ক)/২৮(২)/৩১(২) ধারায় মামলা (মামলা নং-৬২) হয়েছে। মামলায় আপনি একমাত্র আসামি।

‘বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপন নিয়ে আপনার বিতর্কিত অডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ায় বায়োলিয়া মডেল থানার মামলায় আপনাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত ২৫ নভেম্বর আপনাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। কিন্তু তার জবাব পাওয়া যায়নি।

‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে কটুক্তি ও অশালীন বক্তব্য, দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে কাটাখালী পৌরসভার মেয়রের পদ থেকে আপনাকে অপসারণের জন্য পৌরসভার ১২ জন কাউন্সিলর আপনার বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছেন।

‘স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন-২০০৯ এর ৩১(১) ধারা অনুযায়ী, যেক্ষেত্রে কোন পৌরসভার মেয়র অথবা কোন কাউন্সিলরের অপসারণের কার্যক্রম আরম্ভ করা হয়েছে অথবা তার বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলায় অভিযোগপত্র আদালতে গ্রহন হয়েছে, সেক্ষেত্রে নির্ধারিত কর্তৃপক্ষের বিবেচনায় মেয়র অথবা কাউন্সিলরের ক্ষমতা প্রয়োগ পৌরসভার স্বার্থের পরিপন্থী অথবা প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণে সমীচীন না হলে, সরকার লিখিত আদেশের মাধ্যমে মেয়র অথবা কাউন্সিলরকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করতে পারবে।’

প্রজ্ঞাপনে আরো বলা হয়, ‘যেহেতু, আব্বাস আলীর বিরুদ্ধে বায়োলিয়া মডেল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮ এর ২১(২)/ ২৫(১) (ক)/২৮(২)/৩১(২) ধারায় মামলা হয়েছে এবং তিনি গ্রেপ্তার হওয়ায় কর্মস্থলে অনুপস্থিত। এ অবস্থায় পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারী ও পৌরসভার সেবা গ্রহণকারী সাধারণ নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। যা পৌরসভার স্বার্থের পরিপন্থী ও প্রশাসনিক দৃষ্টিকোন থেকে সমীচীন নয় বলে প্রতীয়মান। বিধায় পৌর মেয়রের পদ থেকে সাময়িকভাবে তাকে বরখাস্ত করা যুক্তিযুক্ত।

‘সেহেতু, মো. আব্বাস আলীকে স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন, ২০০৯ এর ধারা ৩১ উপ-ধারা (১) প্রদত্ত ক্ষমতাবলে নির্দেশক্রমে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো।’

এ বিভাগের আরো খবর