বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ডিগ্রি ছাড়াই সর্বরোগের চিকিৎসক ‘ডিবি শর্মা’

  •    
  • ১০ ডিসেম্বর, ২০২১ ০১:৪০

দীপঙ্কর বিনোদ শর্মা জানান, এসব লোক দেখানো। রোগীদের আকৃষ্ট করতে এসব লাগিয়েছেন। তার মহেশখালী উপজেলায়ও একটি চেম্বার রয়েছে। সেখানেও তিনি রোগী দেখেন।

একজন চিকিৎসক হিসেবে যে প্রাতিষ্ঠানিক যোগ্যতা প্রয়োজন সে সবের কিছুই নেই। এরপরও কয়েক বছর ধরে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে চিকিৎসক পরিচয়ে নানা অনিয়ম করে যাচ্ছেন দীপঙ্কর বিনোদ শর্মা ওরফে ডিবি শর্মা।

বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে শহরের হাসপাতাল সড়কে তার চেম্বারে হাজির হয় কক্সবাজার র‌্যাব-১৫ এর একটি দল। আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দীপঙ্কর বিনোদ শর্মা অকপটে শিকার করেন তার সব ঘটনা।

আটক দীপঙ্কর মহেশখালী উপজেলার বড় মহেশখালী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের জগদিস চন্দ্র শর্মার ছেলে।

শহরের হাসপাতাল সড়কে তার চেম্বারের বাইরে বড় অক্ষরে লেখা- ’মেডিসিন, চর্ম-যৌন, মা-শিশু, বাত-ব্যথা, লিভার, ডায়াবেটিস ও মানসিক রোগের চিকিৎসক’। রোগী দেখতে তিনি ফি হিসেবে নিতেন ৬০০ টাকা করে।

এছাড়াও কক্সবাজার সদর হাসপাতালের জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও সনোলজিস্ট, ঢাকা কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার, কক্সবাজার হোপ হসপিটালের সাবেক মেডিক্যাল অফিসার ও চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার সূর্যের হাসি ক্লিনিকের সাবেক মেডিক্যাল অফিসার হিসেবে কর্মরত থাকার কথা তার চেম্বারে বাইরে লাগানো পোস্টারে দেখা যায়। তবে এসবের কোনো প্রমাণ মেলেনি।

দীপঙ্কর বিনোদ শর্মা নিজেই জানান, এসব লোক দেখানো। রোগীদের আকৃষ্ট করতে এসব লাগিয়েছেন। তার মহেশখালী উপজেলায়ও একটি চেম্বার রয়েছে। সেখানেও তিনি রোগী দেখেন।

সম্প্রতি নুরুল আলম নামে এক রোগীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অনুসন্ধানে নামে র‌্যাব। এরপর তার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কক্সবাজার র‌্যাব-১৫ এর উপ-অধিনায়ক তানভীর হাসান নিউজবাংলাকে বলেন, ’একজন চিকিৎসাপ্রার্থীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অনুসন্ধানে আমরা জানতে পারি, কথিত চিকিৎসক ডিবি শর্মা কোনো প্রাতিষ্ঠানিক সনদ ছাড়াই চিকিৎসার নামে প্রতারণা করে যাচ্ছেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি বিষয়টি স্বীকারও করেছেন। তারপরও আমরা আরও তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেব।’

অভিযোগকারী নুরুল আলম নিউজবাংলাকে জানান, ডিবি শর্মার পরামর্শে তার চিকিৎসার পরমার্শ দিয়েছিলেন সদর হাসপাতালের এক আয়া। তারা মূলত ডিবি শর্মার দালাল হিসেবে কাজ করেন। তিনি যে ওষুধ লিখে দেন, তা খেয়ে ভাল হওয়ার চেয়ে অসুস্থ আরও বেশি হয়েছেন। পরে জানতে পারেন তিনি ভুয়া চিকিৎসক।

এ বিভাগের আরো খবর