ক্যান্টিনে কর্মরত এক কিশোরকে ইমামের বলাৎকারের চেষ্টার অভিযোগ তদন্তে কমিটি গঠন করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
তিন সদস্যের এ কমিটি বৃহস্পতিবার বিকালে গঠন করা হয়েছে বলে নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর রবিউল হাসান ভুঁইয়া।
তিনি জানান, কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয়েছে বেগম খালেদা জিয়া হলের প্রভোস্ট মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম সোহেলকে। ডেপুটি রেজিস্ট্রার সৈয়দ মনোয়ার আলীকে সদস্য সচিব এবং সহকারী প্রক্টর এস এ এম জিয়াউল ইসলামকে সদস্য করা হয়েছে। তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
ওই ইমামের শাস্তি জানিয়ে প্রক্টর বরারব অভিযোগ দিয়েছেন ফরেস্ট্রি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সের শিক্ষার্থীরা।
ফরেস্ট্রি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম শহিদুল ইসলাম। তার বাড়ি হাটহাজারী উপজেলায়। তিনি ওই ইনস্টিটিউটের মসজিদের ইমাম।
প্রত্যক্ষদর্শী ছাত্র জুবায়ের নূর নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ক্যান্টিনের এক ছেলেকে পেছনের বাগানে নিয়ে যান শহিদুল। কিছুক্ষণ পর ছেলেটি চিৎকার করলে তার ভাই ও কয়েকজন ছাত্র বলাৎকারের চেষ্টার সময় শহিদুলকে আটক করেন। পরে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা তাকে পেটান।
‘ছেলেটির বয়স ১৩ থেকে ১৪ বছর হবে। তার বড় ভাইও ক্যান্টিনে কাজ করে। এর আগে তাকেও (বড় ভাইকে) যৌন হয়রানি করা হয়েছে বলে অভিযোগ আছে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভুঁইয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্যরা ওই ইমামকে উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিক্যালে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। পরে তার পরিবারের লোকজন এসে চিকিৎসার জন্য অন্যত্র নিয়ে যান।’